তোমায় দেখি না কত শতাব্দীর মতো,
তোমায় শুনি না যেনো যুগের পর যুগ।
যদি আবার দেখা হয়ে যেতো,
তোমায় দেখাতাম আমার কবিতার ডায়েরি,
যার পাতায় পাতায় জমা আছে
অগণিত অপ্রকাশিত অক্ষরের দল,
যে শব্দগুলো সবই তোমার অজানা।
তবে ঠিকই জানিয়ে দিতাম—
সেগুলো কোনো বেদনা নয়,
সুখও নয়,
শুধু সময়ের মলিন অঙ্গীকার।
আবার কখনও কথা হলে-
গুণে গুণে বলে দিতাম
ঠিক কতবার চন্দ্রগ্রহণ হয়েছে,
সেই রাত থেকে,
যে রাতে তুমি পা বাড়িয়েছিলে প্রস্থানের পথে।
বলতাম—
শুক্লপক্ষের চাঁদের গোপন অন্ধকারে,
আমার একাকী ছায়া কতবার তোমায় খুঁজেছে।
জুড়ে দিতাম রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের গল্প,
তার মাঝে ঢেকে যাওয়া আমাদের সম্পর্কের
রক্তচিহ্নের ব্যথা।
কিছুটা হাসতে হাসতে,
প্রিয় ফুটবল দলের হারের দুঃখ ভাগ করে নিতাম।
তুমি হয়তো বলতে, "এসব ছাতা বুঝি না!"
তোমার রেগে যাওয়া কপালের ভাঁজ
আরও একটিবার দেখে নেওয়ার জন্য,
আমি ইচ্ছে করেই শুরু করে দিতাম
বিশ্ব-রাজনীতির জটিল গল্প!
তুমি শুনতে কি?