প্রচণ্ড দাবদাহে যখন কলকাতা সহ সমস্ত পৃথিবীর হৃদয় পুড়ছে
সূর্য মামা তখন নিজের চারপাশে বলয় তৈরি করে
শ্রী বৃদ্ধিতে ব্যস্ত ।
রামধনুর সেই বলয় নিয়ে কত পোস্ট , কত টুইট
কেও কেও বুক বেধেছে সুপ্ত আশায়
হারিয়ে যাওয়া সেই দস্যি মেয়ে এবার হয়তো ফিরবে ঘরে ।
কালো মেয়ে নিরাশ করেনি
শুনলাম আপনার ওখানেও নাকি হানা দিয়েছে
তার ডানপিঠে প্রেমিকটিকে নিয়ে ।
কেমন আছো কবি ?
পায়ের নিচ থেকে শিরশির করে বালির মতো
মাটি গুলো সরে যাচ্ছে
কংক্রিটের রাস্তায় আছড়ে পড়ছে সমুদ্র সফেন
দূরে
বহুদূরে ।
এমন সময় আমার ভাবনা অগোছালো বর্ণমালায় লিখছে আপনাকে ।
জানো কবি ,
একদিন আমাদের ভালোবাসা জুড়ে ছিল এরকম রামধনু বলয়
সকালের সূর্যটাকে আমার জানালায় টাঙিয়ে “পাখি” বলে ডাকতো আমায়
তারপর একটা গভীর চুম্বনে আমার ললাট জুড়ে একে দিত রামধনু
ব্যস্ততার জীবনে কখন সেই বলয়ের রং জ্বলতে শুরু করল বুঝিনি
ও সারা রাত ধরে বলতো , আর আমার চোখ ঘুমে ঢুলত
আজ যখন ঘুম ভাঙল তখন দেখি আমার আকাশ আর শিয়রে নেই ।
নীল খাটের কালো বেডসিটে এখন দুটো জীবন্ত লাশ
হাতড়ে বেড়াই ভালোবাসা
দু’জনের উস্কোখুস্কো চুলে ধূলিকণা গুলো
মৃত হিমোগ্লোবিনের ন্যায় রচনা করে
বাস্তবতার অচেনা ইতিহাস ।
গডরেজে থাকা লাফিং বুদ্ধ দুহাত তুলে তবুও হাসে
আর
প্রতিটা রাত শেষে আমার ললাট খুঁজে সেই রামধনু ।
শুনেছি বৈশাখীর সেই কালো মেয়ের ডানপিঠে প্রেমিক
আজো সব ভেঙে তছনছ করে দিতে পারে ।
কবি,
দাওনা এমন কোন ডানপিঠে প্রেমিককে এনে
যে আমাদের সব দূরত্ব ভেঙে তছনছ করে
দুটো বালিশকে শান্তিতে ঘুমাতে দেবে ।