ফুলের বাগানটা দাউদাউ করে জ্বলছে
মানবিকতার ছায়া গুলো গুলো খড়কুটোর মতো উড়ে
ঠাণ্ডা নারিস্পন্দনের ভেসে যাচ্ছে দূরে
বহুদূরে ।
কেমন আছো কবি ?
সমুদ্র সৈকতে বসে সারি সারি মানুষদের ভিড়ে
আমার ক্লান্ত চোখ
ফাউন্টেন পেনে অশ্রুজল ভরে
তোমাকে উদ্দেশ্য করে লিখছে
অগোছালো বর্ণমালায় কিছু শব্দ ।
দূরে জল গভীর , আর গভীর হয়ে
নীল হয়ে ঘন হচ্ছে
আর, অদৃষ্ট হাতে হাতছানি দিয়ে ডাকছে আমায় ।
একদিন সন্ধ্যায় বাজার থেকে ফিরছি
মধুর সুরে বাঁশি বাজছিল কোথাও
দূরে
এমন সময় উর্দিপরা, মুখে কালো কাপড় বাধা কিছু মানুষ
আমার হাত থেকে জোর করে
নিল আমার স্ত্রীকে
বুম শব্দে বুলেট স্পর্শ করে আমার তলপেট
তারপর
আর মনে নেই
মনের ক্যানভাসে রঙতুলি দিয়ে আঁকা স্বপ্নগুলো
আজ মৃত্যুশয্যায় শায়ীত
নীল খাটের কালো বেডসিটে আর একটা বালিশ
চন্দন বাটার গন্ধ না পেয়ে
এখন অনিদ্রায় ফুসফুস ভরে পোড়া ডিজেলের গন্ধ নেয় ।
এখনো বাঁশিটা একতালে বাজছে
কবি, দাওনা বাঁশির আওয়াজটা পাল্টে
মধুর সুরটা বড্ড বিরক্ত লাগছে ।