***সায়েরী-৩১***
ধন্যবাদ কি দেব না আজ তোমার প্রেমের প্রতিদানে-
শুভ্র শান্তি গুনগুনানি আকাশ নদী তনু মনে!
শতেক পাপের প্রায়শ্চিত্ত তোমার এমন নিরবতা,
প্রেমের বাসী বিচার হলো, দণ্ড দিলেম আপন খুনে!
***সায়েরী-৩২***
ওমর কবি! মদের নেশায় ক্যাম্নে রাতি বেতাল ছিলে?
আমার প্রিয়া তোমার চোখে চোখটি যদি রাখতো ভুলে-
তুচ্ছে ফেলে ‘আঙুর-লতা’ ‘দ্রাক্ষারস’ আর ‘সাকীর মোহ’,
লেখতে ‘বিরহ্-রুবা-ছত্র’, জীবন ব্যাপী প্রতি পলে!
***সায়েরী-৩৩***
বন্ধু তুমি, সবচে আপন! কান্না কেন তোমার লাগি?
তোমার প্রাণে যাহার ছবি, তোমার সে হোক এই তো মাগি!
একটি ব্যথা বীণার সুরে ভর্য়ে দিলো আকাশ-পাতাল!
দিস্ না, শুধু সবটুকু প্রেম তোমার-আমার কাউকে ভাগি।
***সায়েরী-৩৪***
‘কাল কি হবে’? তাহার লাগী পরান যদি হয় উতলা-
আজের ভাগে ফাঁকাই থাকে তোমার আমার প্রেমের ঢালা!
গতকাল কি আবার আসে, কার্ জীবনে নতুন করে?
‘আজের মদে সিক্ত করে’ হোক না এবার প্রাণ উজালা!
***সায়েরী-৩৫***
সাঝের তারা কানে কানে বলে গেলো, কেন্ যে প্রিয়ো!
‘আত্মদহন আলোয় তুমি বিশ্বজাহান ভর্য়ে দিয়ো’।
তোমার জ্বালার প্রতিদানে কেউ দানে কি পূজা অর্ঘ্য,
আর জাহানে ভালোবেসে প্রতিদানটা সম্ঝে নিয়ো।
****
স্বরবৃত্তে ৪-৪-৪-৪ এ পড়ুন!
ছন্দের খাতিরে দমের কম্বেশি করে পড়লে মাত্রা ঠিক ধরা যাবে!
****