কার জন্য সব?
পিঁপড়ে ঘাসফড়িং মাকড়সা
কিম্বা দূরের গাঙচিল।
সুন্দরের প্রতিমায় নির্মম সত্যের
আজব রাজ্য এই দেবশিশুর মন-
উদরপূর্তি-শিশ্নভর্তি বৃষ্টির জল,
নর্দমার গোবরে পোকার ফসল নিশ্চয়ই-
দান প্রেম ভালবাসা-
নিশ্চয়ই হেরেমের আয়না।
কাম- নিশ্চয়ই ত্রিশঙ্কুর ভগ্নদশা।
পূর্ণমনোহতে পরিস্কার বাহক-
নাকি শুভ্রশশ্রুধারী পক্ককেশী দলের
অথবা মা মেরীর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যীশুর ।
বিস্তীর্ণ গোলকে দিকে দিকে বৈসাদৃশ্যের
বিচ্ছিন্ন পুতি গড়ে হেলেনের মুক্তামালা।
হাহাকার প্রতিনাদে ফেরে কেন-
আমারি সন্তানের হাস্যমুখে।
সকাল দুপুর বিকেলে দখিনা বাতাস
মরুর হু হু বাতাসে মিশে একে একে।
একেকটি পাপড়ি পড়ে ঝরে।
শিশির, সে ঝরে পড়েছিলো তো
অনেক আগেই-
প্রথম উষ্ণ আলোর স্পর্শে!
মূল্যহীনা পাপড়ি দেখছো কি সবাই
কত বিবর্ণ তারা, আজ মাটির দোসর
প্রিয়ার বেণীতে কাটানো সাতটি প্রহর
অতীতের অবাস্তব প্রত্যক্ষণ!
এক মুঠো ধূলি
সাত মহাদেশ বিচারীর দেহাবশেষের
মনের আবাস।
বালুর অণুতে অণুতে দ্বার তার প্রবেশের
অনন্ত অসীম মাঝে।
আজব পাখি
ডানাময় ডানাহীন প্রাগৈতিহাসিক।
কেবল বেহেস্তী বলে-
কেবল আদমী বলে
স্বর্গ, পিতৃপ্রদত্ত জলসা, ভাবিও না একবারও!
আলোভরা শরৎ আকাশ-
যদিও দেখনি একবারও প্রকৃত রূপে!
কত কাছে দীপাবলির মিটির মিটির-
কত সহজে প্রবেশ করে অনন্ত চেতনে-
কত কঠিন নির্মম সে দীপের কান্না-
কত সহজ সুন্দর ফ্রাঙ্কেসস্টাইন তারা।
বলে গেল শাহাদাত বানী-
কাঁদি মোরা তরী হীনা মাঝি বলে।
কোনটি সবচে’ স্থায়ী-
আকার না নিরাকার?
গড়ে নিরাকার জমে প্রচণ্ড চাপে;
মাটির দোসরে
গড়েছিলো কোন কালে।
আজব চিন্তা আঁস্তাকুড়ের পলিথিন;
লীন হারা সব বলে হবে কেবল বিলীন।
আমার প্রেমিকার গোপন নরমে
আমার অস্তিত্ত্বের মায়াবী গরমে!