নিজেকে বিলিয়ে দেই আমি ‘পাথর শূন্যতা’ মাঝে।
উত্তপ্ত লাভা ফসিল আর হিমানী শীতলতায়
আবর্তে চিহ্নহীন অস্তিত্ব মোর।
এঁটেল কাঁদায় লুকানো
বেদনার ঝর্ণা কোন জন্মে প্রতিমা সাজে ।
নিজেকে হারিয়ে ফেলি আমি অদৃশ্য পরী’ ডানায় !
মুদিলে নয়ন- শুনি নিক্কণ ধ্বনি,
সেতারা বাজে উপলে;
লক্ষ দিকে লক্ষ প্লাবন ।
ভগ্ন প্রতিমায়-
কৈ সে ভাস্কর তুলির টানে আমার অস্তিত্ব খোঁজে ।
যেতে চাস গগণে, চলে যা !
সীমার বাঁধন ছিঁড়ে অসীমের মাঝে-
অস্তিত্ব যবে তোর দু’ ফোঁটা জল,
ঝরে পড়া গিরি স্রাবে
ক্ষয়ে যাওয়া অজস্র পল!
বসুন্ধরা সমস্মরে চিৎকারি ওঠে অস্তিত্ব ঝড়ে –
“আর্যাবর্ত ছে মলয়সাগরী নির্ঘুমা বালুকণা –
আমার সন্তান তোরা, এক নকশী কাঁথায় বোনা” ।
***১৮ মাত্রার সনেট