ধর্ম জগতে বিশ্বাসের আজ বেজায় বাড়াবাড়ি-
কর্মজগতে বিশ্বাসের তাই কেবল শূণ্য হাড়ি।
এদিক ওদিক দুই দিকেতে শূণ্য উত্তর থলি-
বর্বরতা চালায় তাই হে প্রশ্নের গলায় বলি।
চায় না হুজুর বলতে তোমায় সস্নেহে কোথাও,
বল যখন স্রষ্টা থাকার জায়গা হুজুর বাতাও।
কোথায় আবাস কল্পি তাঁর, কিবা তাঁর কারণ
সবই ঠিক, কিন্তু সে টুকু জানতে সবার বারন।
কবে জন্ম কেমন করে কবেই তাঁর নাশ?
ভাবিনু মনে, কক্ষনো তা করবে নাকো ফাঁস!
যেদিন বলবে নিশ্চিত তুমি পড়বে গলায় ফাঁসি,
ধর্মবেত্তার মুখে সেদিন দেখবে তৃপ্তির হাসি।
এমনি নাটক সব ঘাটে যে সকল ধর্ম মাঝে
ফিকে মনের এ বিশ্বাস আজ ছেয়ে গেছে কাজে।
হাসির কথা নয় যে এ ভাই, সহজ ছন্দে লেখা
সদোত্তরে বাড়বে মুনির কপাল ভাঁজের রেখা।
নাই শ্বাসে নাই রাশে কেবল প্রতিটি ক্ষণে-
কোন সে লাভে ফেরেস্তা দুই পাপের কাঁকড় গুণে?
কার হুকুমে কবর মাঝে শেষ বিচারের আগে-
স্বর্গ নরক হতে পারে পীর পাপীদের ভাগে?
কেবল মোদের বিচার যেন মাটির পুতুল গড়া,
কেমনে মাটি হবে সেদিন আরেক মাটির বাড়া?
কেমনে সুরুজ নামবে সেদিন আধহাত মাথার ‘পর?
সব মানুষের ধারণক্ষম কোথায় সে মাঠ হাশর?
এ দেহ যে নয়কো আমার হাজার জনের দাবি-
একটি কণা কেমনে করে হাজার জনের হবি।
কে যে ভাসালো নীল দরিয়ায় পুরিয়ে রামের ভস্ম
জমে আজ তা শক্ত বেদী নাম দিনু তার অশ্ম।
যে ফলটি খেলাম আমি রসাল মনে যাকে
রস তাকে কি দেয়নি মাটি- চিতার ভস্ম থেকে?
এমনি প্রাণের চির প্রবাহে আমার দেহ কণা
অবুজনের দেহ দায়ের নিপুণজালে বুনা।
কোন দেহ মোর অগ্নি দাহে অঙ্গার হবে সেদিন
প্রশ্নকর্তা নিশ্চিত হুজুর হইয়াছে বেদ্বীন।
দ্বীন বেদ্বীনের সার্টিফিকেট টিকি আর ঐ টুপি
নিজ দায়েতে দিবস রাতি জপ্ তস্বিহ জপি।
হায়রে ধর্ম বুঝেনা মর্ম মাখে মোল্লার চুন-
ঢাকতে কর্ম ভাঙ্গিয়া হর্ম রাঙ্গায় খলিফার খুন!
তিন খলিফার খুনের দায়ে হাশর মাঠ টল্মল্
শহীদী ভাগ্য তেঁনাদের ভাগ্যে জ্বলে তবু ঝল্মল্!
মরে যে মানব ভূত হয় না, হয় কেবলি যীশু
ব্রহ্মা থাকতে ক্ষমতার দেব কেমনেতে সাজে বিষু।
এমনি মোল্লা মুনির শক্তি স্রষ্টাসন কাঁপে থর
স্রষ্টার বাহন হংস হলেও যোগীরা থাকে অনুচর।
কোথা সে ইবলীস শয়তান নামা কোথা সে বন্ধু মোর,
যুগে যুগে সে খুলেছে যে চুপে ভাবুকের চক্ষুর-
প্রশ্নের দ্বার, চির দুর্নিবার হানিয়াছে বারবার;
ভেঙ্গেছে ধ্যান মিথ্যা কল্পে যা মহামুনি মোল্লার।
তার সাথে মোর নেই শত্রুতা আছে স্বয়ং স্রষ্টার;
সেই তো প্রথম বেদপ সৃষ্টি স্রষ্টার ভয় পাবার।
সেবক দলে হলো নাকো ঠাঁই অভিশপ্ত বলি-
মুহূর্তে সে হয়ে গেল পশু, এই তো অন্ধ বুলি
বলে যে হায়, ভুলাতে চায় শয়তানের সুক্ষ্ণমন
কোথা সে স্বর্গ শুধু বেলা ভূমি জুড়ে যে শত যোজন!
মানা যদি যায় আসতে পারে শয়তান স্বর্গ ছেড়ে
কিন্তু কিভাবে শূণ্যে মানব শ্বাস বিনা বাঁচতে পারে।
স্বর্গ ত্যাগে আদম কি রূপে ভরেছে বুকে হাওয়া
এ যেন গিয়া মদীনা নগরে দূর্গার দেখা পাওয়া।
নানান জাতি নানান গল্পে সাজায় যে ভোলের মায়া
এদের মাঝে তবু ক্ষণে ক্ষণে দেখি মিলনের অণুছায়া!
কিন্তু কিবা প্রাণের সংজ্ঞা কিবা রব পরিচয়
ভাব তরঙ্গে মুক্তা খুঁজে চাইনা ক্ষণ অপচয়।
হাজার প্রশ্ন মনের গভীরে নিত্য করে খেলা
নির্বাণ জ্বালা পুড়ালো মোরে, ডুবালো মোর ভেলা।
ইহুদী বলে ধরার বয়স ছ’হাজার নাকি হলো!
কোটিকার আগের দানবেরা তবে কিভাবে ধরায় এলো?
মানুষের মাঝে শোভে আজি ঐ টিকটিকির মুকুট;
অসুরপুরের অমৃত তবে নারায়ণ করেনি লুট!
মহাপ্লাবনে ভাঙ্গা তক্তায় নিয়ে বিশ্বের জীব
ভাসিলো কেমনে চল্লিশ দিন নূহ নবী অতীব।
কোন্ সে আগুনে পোড়ায় না পশম আব্রাহাম সীতার;
আমরা কেন পুড়ব হে তবে আগুনে ঐ হাবিয়ার?
এমন পাপী নইতো মোরা দাসী পুত্র জনক-
নবী সঙ্গী কত ছিলো এমনি ঘোর এ পাপের পাতক।
সপ্ত আসমান তোলপাড় আজ মুক্তির মিছিলে
শয়তান তবে দিলো কি মন্ত্রণা সব মানবের দিলে?
মানি না মোরা মারে যে ধর্ম নারীরে দোর্রা ঘাতে;
নয় নারীতে মেটে না লালসা নিশ্চুপ মরু রাতে!
মুসার পাপে মিশর ঢাকিল ব্যাঙ্গের দলে দলে-
পাপের লাঠি যবি সব সাপে খেয়েছিলো একা গিলে।
দশ দিকেতে দশ গোত্র হইল সাগর পাড়ি
ফেরাউন ফৌজ এমনি হীনা ছিলো না সলিল গাড়ি!
ডুবিল সাগরে হল যে মমি কালের স্বাক্ষী রূপে-
এখনো দেহ পুড়ল না তার কৃষ্ণ নারের তাপে।
পাপের দায়ে মান্না সালার ভান্ডার হল শেষ,
এখন মোরা যদি পেতাম তা হত যে বড়ই বেশ।
এখন সবাই পূণ্য বান্দা মুসা মসীহের চেয়ে-
জন্ম নয় সে সংশয় হীনা নয় কুমারী মেয়ে!
করেনি তো খুন সমাজ সভ্য লোক কোনো-
শ্রদ্ধা দেবার আদিম পাত্রে আঘাত এবার হানো।
চির সত্য নয় কো ধর্ম মানব আবিষ্কার!
মম পূণ্যে ভাবে অন্যে মহা গুনাহগার।
নরমাংস ভক্ষে যারা তাদের যদি পুছো,
ঘোর এ পাপ করে তোমরা কেমনে করে বাঁচো?
বিবেক তাড়ে মৃত্যু বরণ নয় কি তাদের উচিত
সত্যি তথ্য এই জগতে পাপের নাই কোন যে ভিত।
ব্যথা বৃক্ষে ধর্ম রচন চাইনা নতুন করে
চাই না বেহেস্ত চাই না হেরেম চতুর্শক্তি বরে।
ক্ষুদ্র বলে নাই কি মোদের সমান অধিকার?
মোদের বিচার করবে যে সে আসামী হবে কার?
পাতাল নাগের কল্পনা আর মিথ্যা আশার বানী-
কর্মহীন করেছে মোদের মিথ্যে স্বপ্ন বুনি।
আসবে যে ঐ শুভদিন হয়নি বিলীন সত্যশিখা-
আত্মদেখে মিটবো মোদের কাংখিত সে সত্ত্বা দেখা!