এলোমেলো চিন্তাগুলো আজ
আসামী ‘সময়কে’ ফাঁসি দিতে মিলেছে
বধ্যভুমিতে।
আসিবে জল্লাদ-
হাতে তার ওকামের তলওয়ার।
দু’হাজান স্পন্দন; বৃথা ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত
নীলনদ থেকে মায়াদের সমাধি স্তম্ভে।
সাগর জয়ের নেশায়, কামজ প্রেমের আশায়-
মৃত্যুর ভীষণ ব্যথায়- সব ছিঁড়ে সব ফেলে
নিয়ে গেছে বহুদূরে, অজানায় কিম্বা কল্পনায়।
পৃথিবীর সব রং এক হয়ে-
সাদা আলোয় দিকে দিকে প্লাবিত করে,
আশায় কিম্বা হতাশায়।
শুভ্রতাই তবে রাগ দুঃখ বেদনা ক্ষোভের
প্রায়শ্চিত্তহীন হাশর ময়দান।
সেই শুভ্রতাই নাকি শান্তির প্রতীক—
তালোয়ার কাঁপে উর্দির নিচে।
ফেরদৌস আর ইয়াসমিনের পোশাকী সুবাসে
লাশের দুর্গন্ধ শুঁকে আরেকবার
মৃত্যুর সাধ জাগে।
আমি আকাশের সীমানা ছেড়ে—
সব প্রেম; মিছে হাসি মায়ার প্রলাপ জেনে—
ছুটে চলেছি অজ্ঞাতবাসে, অসীমের মাঝে।
মহাবিশ্ব ছেড়ে মহান বিশ্বের মাঝে
বিগত ছেড়ে অনাগতের কাছে-
‘কেবল একটুকু প্লেটোনিক ভালবাসার জন্যে’।
আমি কি বেঁচে আছি,
নাকি মরেই আছি সময়ের শুরুতে।
অস্তিত্ত্ব আমার শুধু দু’ফোটা জল
ঝরে পড়া গিরিস্রাবে-
ক্ষয়ে যাওয়া অজস্র পল- মিছে কল্পনায়!