কবিতাটি 'BSAK'- 'বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশান অফ সাউথ কোরিয়া' ই-বুক এ প্রকাশিত হয়েছিল। বাংলাদশী ব্যাচেলর'দের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছিল।
বিঃদ্রঃ লেখকের সাথে, নিচে উল্লেখিত ব্যাপার গুলোর কোনও মিল নেই। অন্যদের করুন অবস্থা দেখেই এমনটা লিখতে বাধ্য হয়েছিলাম।
বাঙালীর তিন হাত, ডান হাত - বাম হাত, আর অজুহাত
তৃতীয় এই হাত দিয়ে করে সবাইকে কুপকাত
কাজে কর্মে ভালো মনোযোগ, শুধু রান্নার বেলায় আলসেমী
প্রতিবারেই সিধান্ত নেয়, খুব শীঘ্রই বিয়ে করব আমি।
সারাদিন ল্যাবে কাজ করে
রাতে যায় রন্ধন ঘরে
পেঁয়াজ কাটার সময় চোখে আসে কান্না
হায়, কি করে করবে তারা প্রতিদিনের রান্না
আমি পরামর্শ দিই, রান্নায় পারদর্শী হতে চাইলে, উঠতে হলে চূঁড়ায়
বাটা মশলা বাদ দিয়ে, রাঁধো মশলা গুঁড়ায়।
দেশে থাকতে, রান্না কোন ব্যাপারই না, বলে দিত কত শত উক্তি
আর এখানে এসে, পুরো উল্টা, বেড়ে যায় মায়ের প্রতি ভক্তি
মাঝে মাঝে সবাই মিলে করে বারবি-কিউ পার্টি
বিবাহিতরা মোদের জিজ্ঞেস করে, কবে পরবে বিয়ের আংটি
আমরা ভাবি, এবার যে করতে হবে মা-বাবার কাছে আর্তি
দাও না করিয়ে বিয়ে, করতে চাই না আর কোন কাজ বাড়তি।
বিবাহিত যারা, তারা সময় করে পুষতে পারেন কবুতর, ময়না, বা টিয়ে
আর যারা অবিবাহিত, তাদের বলছি, তাড়াতাড়ি করে ফেলুন বিয়ে
শুভকাজটা করুন চটজলদি, করবেন না কেউ দেরী
নইলে, গবেষণার অথৈ বেড়াজালে ঘুরপাক খাবেন, দেরীতে পৌঁছবে তীরে এই জীবন ফেরি।