সময় টা শেষরাত হবে বোধ হয়!
কি জানি কী হল হঠাৎ;
শরীরটা লাগছে খুব খারাপ,
আমি আর মা ছিলাম খাটে শুয়ে।
চোখে নেই ঘুম;
চারিদিকে শুনি ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক।
হঠাৎ কে যেন বলে ওঠে
তুই!
আওয়াজটা শুনে-
থমকে গেলাম কিছুক্ষনে।
এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখলাম কই কেউ নেই,
আবার কানে এলো-
তুই!
ভয় জাগলো মনে,
ইতস্তত হয়ে বললাম কে?
অমনি ছাওয়ার মত
কী জানি একটা পেরিয়ে গেল পাশ দিয়ে।
সামনে দরজা, তার সামনে খোলা বারান্দা।
পূর্ণিমার চাঁদের আলো পড়ছে বারান্দায়,
গ্রীষ্মের রাতের মৃদু হাওয়ায়
দরজার পর্দাটা নড়ছে এলোমেলো ভাবে।
আবার আওয়াজ এলো-
তুই!
মনে হল বারান্দার সামনের গাছটাই
কে যেন বসলো,
বললাম কে ওখানে?
জবাব এলো- ভুলে গেলি?
খটকা লাগলো মনে।
এবার যাবো শুধাতে;
মুখে পড়ল জলের ছিটে
কি রে এখনো ঘুমাবি?
চল ওঠ সকাল হয়েছে।