তারা তোমাদের তেলাপোকা দেয়,
দিয়ে তোমাদের বলে, "ইহা হয় পাখি।"
তোমরা 'পাখি'র মাংস খেতে খেতে বল-
"পাখিটা তো চিংড়ির মাথার মত স্বাদ।"
তোমাদের চোখগুলো চেটে খেয়েছ;
তাই জিহ্বা আর স্বাদ দেখতে পায় না।
সত্যবাবু গিয়াছিলেন রবিবাবুর ধারে।
রবিবাবু কবি হয়ে লিখে দিলেন তারে-
"দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া/ঘর হইতে..."
গুরু তুমি ভুল, হে গুরু তুমি ভুল।
তাহাদের চক্ষু, ধুরু থুক্কু, পদ্যছন্দ রাখি-
তারা চোখ মেলবে কী করে বলেন?
তাদের চোখ তারা রেখে দিয়েছে,
দেড় মিলিয়নের বেশি বিবেকের বন্ধকে।
অতিকায় ডাইনোসর নাই এখন কিন্তু,
দিব্যি উড়ে বেড়াচ্ছে কিছু তেলাপোকা।
তাদের দেখে তোমরাও চেঁচাও তারস্বরে-
"ওই যে চিংড়ি স্বাদের পাখি ওড়ে।"
তারপর একদিন তারা অন্যদের ডাকবে,
ডেকে তোমাদের দেখিয়ে বলবে-
"দেখ,এরা সবগুলা হৃষ্টপুষ্ট তেলাপোকা।
আর তোমরা সব পোকাখেকো ব্যাঙ।"
তারপর তোমরা তেলাপোকা হয়ে উড়বে,
যেমনটা উড়ত পাখি কিংবা চিংড়ির মাথা।
আঠালো জিভে আটকে খাবে তোমাদের-
অন্যরা, যারা কিনা হয়েছে ব্যাঙ।
-মিনহাজ উদ্দিন শিবলী
১২/০৫/২০১৬