শহর থেকে খানিক দূরে আমার গ্রামের আবাস
চোট্রবেলা ঔ গ্রামেতে ছিলো মোর নিবাস।
গ্রামের পাশে স্কুল আছে, আছে বাজার হাট
মাদ্রাসা পাশে আছে, আছে মসজিদ মাঠ।
খানিক দূরে নদী আছে, আছে নৌকায় পাল
মধ্য খানে জমি আছে, আছে চাষীর হাল।
বাড়ির পাশে নানার বাড়ি দাদার বাড়ি আরও কাছে
শৈশব আমার গাথাঁ আছে, অপূর্ব এ গ্রামের মাঝে।
বর্ষাকালে আমার আমার গ্রামে বন্যা আসতো ভেলা নিয়ে
ভেলায় চড়ে এ গ্রাম ও গ্রাম যেতাম বড় মজা করে।
শিতের বেলায় গ্রামের জলসায় বসতো কতো রঙ্গের মেলা
আমরা সবাই খেলা করে কেটে দিতাম নিদ্রাবেলা।
পাটশালাতে যাওয়ার বেলা সাথী নিয়ে যেতাম ঝিলে
বেত বাগানের মাঝে বসে গুটা খেতাম সবাই মিলে।
গ্রামের মাঠে ফুটবল নিয়ে খেলা করতাম মনের সুখে।
মারগুল্লি আর কানামাছি গুল্লাছুট আর হাডুডু-
এসব খেলা আমার গ্রামে খেরতো সবাই নিত্য মনে,
আর ব্যাড-মিন্টন খেলা হতো নিকট আত্মীয় নিয়ে।
নবান্নে আমার গ্রামে পিঠা হতো সবার ঘরে,
এসব পিঠা খেয়ে আমি তৃপ্ত হতাম প্রাণ ভরে।
আমার গ্রামের আম বাগানে হরেক রকম আমের ঘ্রাণে,
সকাল বিকাল আম কুড়াতাম ঝড়ো হাওয়া ব্যাতি রেখে।
আমার গ্রামের মানুষ গুলোর মন উদার ও সরল,
অনেক সময় শান্ত তারা অনেক সময় গরল।
এমন গ্রামটি আর কোথাও পাবেনা ভাই তুমি,
বিচিত্র এই গ্রামটি যে ভাই আমার জন্ম ভূমি।