নিঝুম রাত্রি আছে বলে-
মর্ম বুঝি দিনের কর্মচঞ্চল্য
তবু রাখতে পারি কি রাত্রিকে
জীবন থেকে করতে বিভক্ত?

নবজাতক যখন আসে
পৃথিবীর এক মাঝরাতে-
দীপ্তিময় শোভা পায়
পিতা মাতার মনে ও প্রাণে!

অমাবস্যায় চাঁদ থাকে আড়ালে
দুঃসময় এর ব্যাখ্যা কাব্যে
জ্যোৎস্না রাত আলোয় পূর্ণ
মধুময় সময় মনও ভালো!

আপনজনের নিঃশ্বাস
যদি যায় কোন রাতে,
ব্যথার হৃদয় বিদায় যেন
স্রষ্টা ওপারে  ভালো রাখে।  

পরশপাথর হয়ে আসে
দুর্যোগ পূর্ণ রজনীতে-
এলোমেলো করে দেয়
হেসে ক্ষণিকের দুঃখতে!

পৃথিবীর রজনী কাটে
আল্লাহর ইবাদতের মাঝে,
চাঁদ রাত্রিকাল আসে
ঈদের বার্তা আগমনে।

অনিশ্চিত রাত্রি ভেবে অস্থির
জীবন হবে কি সম্মুখীন!
পাবো কি তারে প্রতিক্ষণে
আলোর পূর্ণতা প্রাণে।

তিমির ঘুমের ঘোরে
স্বপ্ন দেখি জীবনের আড়ালে
দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার
সাহস যোগায় আমায়।

রাত্রি কি দুর্যোগের ঘনঘটা
সে আলোর ঝর্ণা ধারা,
দিনরাত্রি সুন্দর সৌন্দর্য
স্রষ্টার অনবদ্য এক রহস্য!

২০/০৬/২০০৩, রাত: ১২.৩০ মি.

ছাত্র জীবনে রাত জেগে পড়াশুনা করতাম এর ফাঁকে লেখা একটি কবিতা।।