নীল আকাশে মেঘগুলো ভাসে ওই দূরে
আমার পথে প্রান্তরে কৃষ্ণচূড়া
অগ্নিঝরা লাল মেঘ হয়ে আছে!
সবুজ কচি পাতার ডালে লাল পাপড়ি
বসন্তের কোকিল আর লালের সমুদ্র আনে!
আমার মনে আছে ছোট বেলায়
কৃষ্ণ চূড়ার কলি স্কুলে অনেক কাটাকুটি-
আর পাপড়ি নিয়ে কত খেলেছি!
যেথায় আমি ঘুরে ফিরি ওই লাল রং
আজও আমি ভীষণ ভালোবাসি।
তপ্ত রোদে পথিক পায় ছায়া
বাদল দিনে বৃষ্টি ভেজা প্রকৃতি অপরূপা।
মুখরিত পাখিরা পায় যেন আপন ঠিকানা
কত রক্তাক্ত বিপ্লবী দিয়েছে প্রাণ
তুমি রেখেছো তাদের স্মৃতি আঁকড়ে
আগুনের ফুল যেন এক একটা শহীদ
প্রকৃতি যেন সুশোভিত নীরবতা।
আমার প্রিয়ার লাল ঠোঁটের হাসি-
যেন টিয়া পাখি, খোপায় দেব কৃষ্ণচূড়া
অপলক দৃষ্টি ছুঁয়ে যাবে সারা বেলা !
লাল চুড়ি, লাল টিপ, লাল শাড়ির সবুজ পাড়-
পড়বে ফাল্গুনের এক দিনে কৃষ্ণচূড়ায় সাজে
হেঁটে যাবো কোন একদিন দুপুরে মিষ্টি রোদে,
কৃষ্ণচূড়ায় ছায়ায় কইব কথা!
হোক না প্রকৃতি আর প্রেমিকের হিংসা,
আমার মনে থাকবে শুধু কৃষ্ণচূড়া কৃষ্ণচূড়া ।।