আমি রোজ নিয়ম করে তোমায় দেখতাম
নীল আকাশে মেঘের মতো আমার মন-
খুঁজে নিতো তোমায় সারাক্ষণ।
তোমার স্কুলের শুরু ও শেষে
পথে দাঁড়িয়ে সুখ খুঁজে নিতাম।
গ্রীস্মের তাপদাহ ঝকঝকে রোদের আলো-
বর্ষার রিমঝিমের বৃষ্টিতে ভেজা বজ্রপাতের আশঙ্কা
আমার কাছে হার মেনে নিত!
তোমার আবৃত ইস্কুলের স্কার্ফে দুটি চোখে
মাদকাসক্ত ছাড়াই আমি ভয়ংকর নেশাগ্রস্ত ।।
তোমার চোখের ইশারা আমাকে করতে তৃষ্ণার্ত
ফাল্গুনের ফুটন্ত ফুলগুলো বলে দিত-
তোমায় আমি ভালোবাসি কত!

আমাকে দেখে তোমার চোখের উচ্ছ্বাস
সৌন্দর্য আজও আমি লিখতে নাহি পারি!
কলেজের শেষে বলতে কথা অনিয়মিত
একই মহল্লা বলে দেখা মিলতো অজুহাতে!

আমাদের দূর থেকে প্রেমের নাটকে
ছিল তোমার পরিবারের খানিক উস্কানি!
তাতে আমার পড়াশোনা শেষের ব্যস্ততা
পাশাপাশি চলছে ব্যবসা আর সফলতা।।
তোমাকে জন্য আমার মনে শ্রাবণ ধারা
সংসারের ছক এঁকেছি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা।।
ভালবাসলে মানুষ স্বপ্নে দেখে আমি চেয়েছি
দু হাতটি ধরে পৃথিবী পার হতে!

কি এক সমীকরণে আমায় টানলে
ব্যবহারটাই আমার মনে এনেছে ক্ষত ।
শূন্যতা ব্যথিত স্মৃতির দুর্যোগ নিরবে অশ্রু গড়ায়।
এখনো আমি খুঁজে ফিরি তোমার দুটি চোখে
যদি ভালোবাসা তোমাকে নিঃশব্দে না কাঁদায়!