আমি একটি মর্মস্পর্শী পাণ্ডুলিপি লিখবো
যার প্রতিটি শব্দে অনিয়ম তুলে আনবো।
তুলে ধরবো বখে যাওয়া মানবতার চিত্র
আঙ্গুল তুলে দেখাবো কে শত্রু আর কে মিত্র।
নিরলসভাবে লিখে যাবো নিপিড়ীতের কথা
অনিয়মই যেথায় হয়েছে নিয়মের প্রথা।
লা মিমো'র মতো সোচ্চার হবো দিবস যামিনী
লিখে যাব হীনস্বার্থ চরিতার্থের কাহিনী।
স্বদেশ ছেড়ে মানুষ কেন অভিবাসী প্রার্থী?
একজন মানুষ কি করে হয় শরনার্থী?
উত্তাল সাগরে ছোট্ট শিশুর প্রতি তান্ডবতা
ভয়াল বিভীষিকাময় তার সেই অভিজ্ঞতা।
আগুন ঝরা পাণ্ডুলিপিটা হবে অমর গাঁথা
থাকবে জঙ্গিবাদের পিছনের সকল কথা।
যেখানে অবলীলায় লিখবো অল্প অল্প
সহজ সরল ছেলেটিকে ফাঁসানোর গল্প।
হচ্ছে যে হাজার হাজার মায়ের বুক খালি
বঁধুর মেহেদী না মুছতেই, বিধবায় বলি।
প্রতিবাদীর কলমে, মানুষের চির কল্যাণে
ক্লান্তিহীন দেহে, নির্ঘুম নয়নে, স্ব যতনে।
লিখেই যাবো, নাহি রুখবার, আমি দুর্নিবার
কেন হয় মানুষে মানুষে বিভেদের প্রাচীর?
জন্মের ঠিক পরেই ডাষ্টবিনে ঠাই পাওয়া
সেই বেজন্মা শিশুটির অব্যাক্ত চাওয়া।
কোন ধর্ম, কখনোই যে শিখায় না অনাচার
ধর্মে ধর্মে বিভেধ নাহি, সে মানবতার।
তুমি পাপি, টেনেছ রেখা আজ জাতিতে জাতিতে
স্বর্গীয় এই ধরায়, তুচ্ছ লোভের মোহেতে।
আপন স্বার্থের বলয়ে তুমি যে সংকীর্ণ
অনুধাবন করো গভীরে, আসলে মূলে শীর্ণ।
কেন আমি শিখবো না, বিশাল আকাশের থেকে?
কেন আমি বাড়াব না, হাতটি সাগরের দিকে?
কেন আমি উড়ব না, ওই পাখির মতো করে?
কেন আমি ছড়াবো না, বিমল বায়ু সাথে করে?
কেন আমি দাঁড়াবো না, এভারেস্টের মতো করে?
মানুষ হলে, পাণ্ডুলিপিটা নিয়ো অন্তস্থ করে।