পদ্মার কূল হতে আসিল যে ডাক
গর্জিল তুফান, উঠিল আঘাত--
বাতাসে গুঞ্জরিত শঙ্খধ্বনি
থেমে থেমে শোনা যায় বজ্রপাত।
অচেনা দূরপথ, উত্তাল অগ্নিস্রোত
বীরেরা চলে অবিরত গতি,
সেই পথে রেখেছে যে পদচিহ্ন
সেখানে জাগে অমরত্বের গীতি।
অগ্নি ঝড়ে আসুক যতই প্রতিবন্ধক
বাঁধ মানেনা, বীরের চলা দূর্দমনীয়,
আকাশে ছড়ায় যে বিজয়ের চিহ্ন
তারি গানে ঝংকৃত পথ অক্লান্ত অমরীয়।
তোমার সাহসে ভাসুক এই প্রান্তর
আলোর মশাল হবে প্রহরের শেষে,
হাজার ক্রোশ পেরিয়ে, বঙ্গোপসাগরে মেশে
তুমিই জাগাও বিজয়ের নতুন রূপকথা দেশে।
বাংলার মানুষ বোঝে পদ্মার বিপ্লবী ভাষা
তোমার গর্জনে মিলায় শাসকের নির্দেশ,
যুবারা তুলে স্লোগান, দুর্বার আন্দোলনের
নদী আর রাজনীতি—একই পথ, একই রেষ।
ধ্বংসের মাঝে জন্মায় যে সৃষ্টি
তোমার যাত্রায় সে সুর বাজুক,
শত ঝড়ে, কুয়াশায় আচ্ছন্ন রাতেও
তুমি বীর, মহাকালের অমর সৈনিক।
তুমি যে বীর, তোমার রক্তের ঢেউ
ছুটে যায় দিগন্তের সীমাহীন পথে,
অপরাজেয় বাংলায় লাল সবুজের পতাকা
উড়িয়ে দাও তুমিই বাতাসের সাথে।
পদ্মা তুমি বয়ে চলো অবিরাম
নির্ভীক হৃদয়ে করো জয়ধ্বনি,
প্রকৃতির বুকেও লিখে যাবে তুমি
মহাকালের পটে তোমারই বিজয়কথা, অমনি।