নিশীথ রজনী সুনিবিড় আজি, স্তব্ধ যেন দিগন্ত ধরা
পল্লী গ্রামে মধুর ছোঁয়া, ব্যাকুল মন সিক্ত স্নেহে ভরা,
আকাশেতে জ্যোৎস্নার আলো, সোনার রঙে আলোকিত করি
চাঁদের মায়ায় নদীর জলে ছড়ায় শুভ্র রূপের ধারা ভারি।
ঝিলের পাশে ফুলের বনে, নীরবে বকুল ঝরিয়া
সন্ধ্যা ভাঙা প্রহরে রহে, কত অলীক স্বপ্ন মিশিয়া,
পথের ধারে থমকে রহে, বটের ডালে জোনাকির খেলা
গহন মায়ার আঁধার ঘেরা, রাত্রি যেন বিষ্ময়ের বেলা।
মাটির গন্ধে প্রাণ ভরে, বুকের মাঝে ধরণী তার
ফসলি মাঠে শস্য দুলে, বাতাসে বাজে আনন্দ ঝংকার,
বাঁশবাগানে ভাঙা বাঁশি, বয়ে আনে পল্লীর উপাত্ত
বুড়ো কৃষাণ দৃষ্টিতে তার স্মৃতির পটে দেখেন নিত্য।
গ্রামের সেই নিরিবিলি পথে, হাঁটে যুবক প্রভাত চাহি
মনের কোণে আশা জাগে, নতুন দিন আসিবে বাহি,
রাত্রির শেষে রোদ্দুর হাসে, দিগন্তে ফুটে মলিন কুসুম
এ জগতের প্রেমে হারায়, হৃদয়ে সেই অমূল্য সুখ সুম।
পথিক তুমি হেঁটে যাও, এই সুরভিত গ্রাম বকুল বনে
স্মৃতির খোঁজে ফিরিয়া চাও, সে নির্জনে, সে কুসুম-শোভনে।
এই যে গ্রাম, এই যে জীবন, স্বপ্নে জাগে মধুর স্মৃতি
মনে মম রহিয়া থাকে, গ্রাম বাংলার অকৃত্রিম প্রীতি।