নিশীথের ঢেউয়ে শ্যামল ছায়া,
ঝিলিমিলি হাওয়া বুনে মাধুর্য নয়া,
শিমুলের সুরে বাঁশির ঝংকারে
দোল লাগে হৃদয়ের অচিন পুরে।
আকাশের বুকে তারা ছড়িয়ে—
অদূর কোনো নক্ষত্র সখ্যে জড়িয়ে,
মহাকাশের গভীরে এক প্রশান্তি
প্রেমময় ছন্দে অনুরাগের কান্তি।
মুগ্ধতা মেখে আমি দূরদিগন্তে,
নিঃশব্দে ছুঁই স্বপ্নের মঞ্জির পাতে,
নৈঃশব্দেও সুরের মৃদু কাহন—
চাঁদের গোপন হাসি যেন চির অনুরণন।
দূরে ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দু,
চাঁদের আলোয় ঝলমলে ইন্দ্রজালের সিন্ধু,
প্রত্যেক কণা যেন কিছু বলছে
বৃক্ষেরা পাতায় কোমল পাল তুলছে।
এই যে রাত, যেন বিশ্বজোড়া ক্যানভাস,
আঁকা হয়েছে তাতে নিঃশব্দের প্রতিশ্বাস,
পৃথিবীর সমস্ত ক্লান্তি, সমস্ত ক্লেশ
মুছে দিয়ে শান্তির ছোঁয়ায় ভরে দেয় আশ্বাস।
যেন সৃষ্টির এক অতুল রহস্যে,
নক্ষত্রের পানে মন অবিচল হর্ষে,
এ চিরায়ত প্রশান্তির ছোঁয়া অন্তরে—
বিস্মরণে খুঁজে পুনর্জন্মের স্বরূপ গভীরে।
হৃদয় মেলে এই রাতের বিশাল শূন্যতায়,
ক্লান্ত দিনের শেষ প্রান্তে যখন দাঁড়ায়,
প্রতিটি নক্ষত্রের শান্তির আহ্বান ইশারায়
অতল কালো আকাশের স্নিগ্ধ মায়ায়।
যেন এক আশ্রয়, যেখানে জাগে নির্ভয়,
মহাবিশ্বের আকাশে খুঁজে পাই নিরাময়,
গভীর সখ্যতার সাথে এক নির্জনতায়
রুদ্ধ হৃদয় এমনি এক রাত্রির প্রতীক্ষায়।