চুপিসারে আমি—
দূরের ঐ পাহাড়ের চূড়ায় উঠবো একদিন,
সেখানে মেঘ ছুঁবো,
সাদা পেঁজা৷ তুলোর মেঘ,
অঞ্জলি ভরে নিয়ে আসবো আমার ঘরে।
মেঘগুলো ছড়িয়ে দেবো—
আমার শয়ন ঘরের কোণে কোণে,
যেন প্রতিটি রাত হয় স্নিগ্ধতা আর নীরবতার গল্প।
পর্দার ফাঁক দিয়ে যখন চাঁদের আলো আসবে,
মেঘের নরম ছায়া তখন,
আমার ঘরে মেলে দেবে শুভ্র এক আবরণ।
আমি বসবো সেই নরম মেঘের চাদরে,
হাত বুলিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করবো—
দূরের পাহাড়, নদী, আর বনভূমির কুশলাদি,
মেঘ বলবে তার যাত্রাপথের কথা,
স্বপ্ন এসে বলবে—
'তুমি ছুঁয়েছো আকাশকে আজ।'
একদিন হয়তো আমি নিজেই হবো মেঘের মতো,
সেই পাহাড়, নদী, বনের সাথে মিশে যাবো অনন্তকাল।
যে রাতে আমি থাকবো না, আমার ঘর ভরে থাকবে,
সেই মেঘের ছোঁয়া আর স্মৃতির ছায়ায়,
বাতাস এসে সে মেঘে হালকা দোলা দিয়ে বলবে,
'তুমি ছিলে, তুমি আছো, তুমি রবে চিরকাল।'
যেন মেঘেরা সাক্ষী হয়ে থাকে,
আমার জীবনের প্রতিটি অদেখা স্বপ্নের,
আমার প্রতিটি ভোরে আর রাতে—
তাদের শীতল, স্নিগ্ধ চাদর হয়ে,
আমার নিঃশ্বাসের মায়ায় আর ঘুমের ঘোরে,
থেমে থাকে প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চাওয়া।
আমি প্রতিদিন সেই মেঘগুলো—
আমার শয়ন ঘরে এনে রাখবো,
যত্ন করে সাজিয়ে সাজিয়ে রাখবো—
যেন প্রতিটি সকাল, প্রতিটি রাত,
হয় আমার নিজের মেঘে মোড়া এক শান্তির বাসা।