হাওদায় বসে সুচিস্মিতা
মহানিশায় দুস্তর পথে যায়,
শতঘ্নী হস্তে ঠমক ঢঙে
বৃংচিত মন্দ্রে শত্রুরা পালায়।
এক্ষণে নাহি কোনো চিক্ষমিষা
চিত্তে মদীয় প্রবল বিজিগীষা;
দুলঙ্ঘ্য, নাহি কেহ রুখবার
অরিতে বর্বর শতঘ্নী আমার।
ক্রোধাগ্নি অন্তরে, হোমাগ্নি গিরিসম
বধিলে দুশমন জুড়াইবে প্রাণমম;
জগৎ শুনিবে অশ্রুতপূর্ব অট্টহাসি
ভেদিবে অংশু প্রগাঢ় তামসী।
করি রায়তদের লালন অপত্যনির্বিশেষে
কোন সে হেতু উন্মার্গগামী, না বোধি আমি
প্রাগুক্ত সবই, শুশ্রুষুর নেই অবকাশ
আজ করিৎকর্মা আমি, দত্তপহারী স্বামী।
রত্নি মম অসিতে নৈবদ্য লৌহের ন্যায়
ধ্বংস মাতমে হাবড়াদের খরশাল গুঁড়ায়;
মুমুক্ষায় তিতীর্যু আমি আজ পূণ্যতোয়ায়
মহানাদ সনে প্রভাতকল্পায় আতপ বিকায়।