আপন খেয়ালে মেয়েটি স্বপ্ন বুনে জীবন গড়ে
দিগন্তে চোখ রেখে নিজ পথে এগোয় ধীরে,
সকাল বেলা রোদ্দুর গায়ে, রাতে নক্ষত্র খোঁজে
নিজের আলোয় আলোকিত হতে, স্বপ্নিল চোখ বুঁজে।
কিন্তু ছেলেটির চাওয়া সাকুল্যে শুধুই রক্ষণশীল হওয়া
যেখানে সে নিজেই নায়ক, মেয়েটি হবে তার ছায়া,
রক্ষার নামে সীমানা টানে, ইচ্ছের বৃত্ত আঁকে
মেয়েটির পথ আটকে রেখে শৃঙ্খলার প্রেমের ফাঁকে।
মেয়েটি যখন আকাশ চায়, ছেলেটি মাটির ঘর
দু'জনের পথের লক্ষ্য দুই, দু'জনেরই আলাদা স্বর,
একজন জ্বলে আলোর মতো, ছুটে স্বপ্নের তরে
অন্যজন খোঁজে শান্তির বাসা, পুরনোর রেশ ধরে।
জীবন তো নদীর স্রোত, কখনও থামে না কারো
স্বাধীনতায় শৃঙ্খল পরালে, মৃদু বাতাস হয় ঝড়ো,
দ্বন্দ্ব বাড়ে দিনে দিনে, মনে বাড়ে তিক্ততা
মেয়েটির স্বপ্ন নীল আকাশে, ছেলেটি চায় স্থিরতা।
জীবনের এই টানাপোড়েন, কোথায় শেষ তার?
স্বাধীনতা আর শৃঙ্খলা, দু'জনের মাঝে যখন ভার,
স্বপ্নে ঠোক্কর লেগে দু'জনার, পথ দু'দিকে যায়
চলতে গিয়ে একে অন্যকে আর চিনতে না পায়।
কোথায় শেষ এই দ্বন্দ্বের, কোথায় মিলন সীমানা?
যেখানে মেয়েটির মুক্তি, ছেলেটি সমঝোতায় বাঁধা হবেনা,
স্বাধীনতা আর শৃঙ্খলার দ্বন্দ্বে যদি জড়ায় জীবন
সুজন হলেও দু'জন, তিক্ত হয়ে উঠে তখন।
সেই পথ খুঁজতে হলে, প্রয়োজন অধিকার সমান
স্বাধীনতা, শৃঙ্খলার মেলবন্ধনে তৈরি করে প্রেমের সন্মান,
মেয়েটি পাবে উড়বার পাখা, ছেলেটি পাবে দাঁড়
নতুন জীবন গড়ার শপথে, সামনে পা বাড়াবার।