হারু মিয়া নামী গোয়ালা,
গরু নিয়ে করতেন বড়াই।
বলতেন, “আমার গরু লক্ষ্মী,
দুধে ভরে বিশাল কড়াই।”
সকালে উঠে দেখেন হায়,
গরু নাই, গোয়াল ফাঁকা।
হারু মিয়া চিৎকার করে,
“আমার গরু দিল যে ধোঁকা!”
পাড়া-পড়শি এল দৌড়ে,
বলে, “চুরি হয়েছে রাতে!”
কেউ বলে, “লাফিয়ে গরু,
চলে গেছে কলাই ক্ষেতে!”
হারু মিয়া ভাবেন বসে,
“যাবে কোথায় এত সকালে?”
নড়ি হাতে নামলেন খুঁজতে,
গরু চোর ধরবেন কৌশলে।
হঠাৎ হারু পেলেন দেখা
গরু দাঁড়িয়ে নদীর চরে।
হারু বলে, “ভয় দেখালি,
ভেবেছিলাম তোকে নিয়েছে চোরে!”
গরু বলে, “কেন মালিক?
চোরের কথা মিছে ভাবছো?”
“খাও দুধ, দাও খড়,
আমার কষ্টের খবর কী রাখছো?”
হারু বলে, “ওরে লক্ষী,
তোর খাবারের হবে উন্নতি,
ভালো খাবার দেব তোকে
দুধ দিবি কয়েক বালতি।
গরু হাসে, “মালিক, ঠিক,
মনে থাকে যেন কথাগুলো।
ভালো খাবার পেলে আমি,
দুধে ভরবো তোমার বালতিগুলো।”
হারু-গরুর নতুন চুক্তিতে,
গ্রামে ছড়ায় খুশির রোল।
গরু খায় মিষ্টি ভূষি,
সবাই বাঁজায় খুশির ঢোল।