জনমানবহীন চারিদিকে, বালুকাবেলায় একাকী
বেলাভূমির ঢেউয়ের উদাত্ত আহ্বানে;
সম্মুখে বিস্তৃত নীলিমা, সাগরের আলিঙ্গনে
প্রাণের কথা বলিতে ব্যাকুল জোয়ারের টানে।
বালুকার কণাগুলি ধীরে ধীরে সরিয়া যায়
পদতলে মৃদু শীতল অনুভব;
এমন সন্ধ্যায় মন উদাস হইয়া যায়
স্মৃতির পাখিরা করে কলরব।
দিগন্তে সূর্য যখন লজ্জায় মিলাইয়া যায়
আলোছায়ায় শীতল চারিধার;
পাখিগন ফিরে নিজ আলয়ে
ডানায় নেমে আসে স্নিগ্ধ আঁধার।
এই নির্জনতা, এই নিস্তব্ধতা আমার
তটভূমি যেন সাক্ষী প্রাচীন ইতিহাসের;
যেখানে ঢেউয়ের সুরে মাতে জীবনধারা
নির্ভীক প্রবাহে ক্রমবিকাশ হয় জোয়ারের।
আঁধার সরাইয়া চাঁদের আলোর সাগর স্পর্শ
তটে জ্বলে মৃদু আলো জোনাকির;
হৃদয়ের কোলাহল, একাকী মনে মিশিয়া যায়
সৈকত সনে ভালোবাসা হয় আরও গভীর।
যদি আর কখনো না আসা হয় এখানে
মন রচনা করে অপর কাহিনী ভিন্ন;
জোয়ারের মাঝে ভাসিবে কি তখনও আমার
বেলাভূমির নির্মল প্রেমের চিহ্ন?
যদি কেহ স্পর্শ করে বালুকার প্রতিটি কণা
জানিবে না সে, এখানে কত গল্প বোনা;
বেলাভূমির সাথে মনের গোপন রচনা
আর রজনীর আকাশে তারাগুলির গণনা।