নীরব নিশিদিন পাহাড়ে বৃক্ষরাজির তলে
এক সাধক বসেন স্রষ্টার ধ্যানের কোলে,
তাঁর আরাধনায় আকাশ মাটি হয় গর্বিত
জোনাকির আলোকে চারিধার আলোকিত।
যখন মায়াবি সন্ধ্যা ঘনায় চট্টলার বুকে
আশেকান গন ভক্তি শ্রদ্ধায় হৃদয়ে রাখে,
হৃদয়ের স্পন্দনে জ্বাজল্যমান পবিত্র নাম
বায়েজিদ বোস্তামী, সে পুণ্যের ধরাধাম।
জ্ঞান আর সাধনায় উজাড় ছিল প্রাণ
অহংকারের ছায়া করতে পারেনি তাকে ম্লান,
মায়ের মুখে দেখেছিলেন তিঁনি অমিয় কায়া
সেবা ভালোবাসা আর হৃদয় ভরা মায়া।
মনেতে ছিলনা কোন রাজ্য সিংহাসনের লালন
হৃদয়ে করেছেন স্রষ্টার নীতির পালন,
ত্যাগের গল্পগুলো ছুঁয়ে যায় প্রাণ
ধরনীতে তিনি অমর সাধক গরীয়ান।
নিঃস্বার্থ ভক্তি তাঁর জীবনের মূলমন্ত্র
কৃত্রিমতা বিরর্জিত ছিল সকল তন্ত্র,
অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছিলেন অটল সোচ্চার
বায়েজিদ ছিলেন সত্য ন্যায়ের রূপকার।
পুকুরের জলে কচ্ছপেরা করে খেলা
তাদের দেখতে মানুষ কাটায় বেলা,
আশেকেরা মাশেকের তরে গভীর প্রেমী
ধন্য তুমি ধন্য বায়েজিত বোস্তামী।
সত্য আর প্রেমের প্রদীপ হাতে নিয়ে
তুমি আছো পথের দিশারী হয়ে,
চট্টলার আকাশে ধ্বনিত হয় জয়গান
বায়েজিদ বোস্তামী চিরন্তন মহীয়ান।