নদীমেখলা বলে নদীর সাথে করি মিতালি,
জন্ম থেকেই বন্ধুসুলভ আমরা যে বাঙালি।                   
মাটি কর্ষে সোনা ফলাই, অতল থেকে তুলি মুক্তা         
স্বীয় কর্মে কর্মঠ মোরা স্বপ্ন বাস্তবায়নের উদ্যোক্তা।
পারেনি কেহ পারবেওনা কখনো লক্ষে যে অটল,
অতলস্পর্শী জ্ঞানের পরিসীমা গভীর অতল। 
দুনিয়াময় মানবতায় আমরা সদাই সহনশীল,
আপাদমস্তক এ জাতি ভদ্র ও মননশীল।       
দেদীপ্যমান বাঙালি আজ ক্রমশ ধরায় উদীয়মান,
হাজার বছরের ঐতিহ্যে সাম্য মৈত্রীতে গাহি গান।
সকলের তরে সকলে মোরা আমরা সার্বজনীন,              
আচারনিষ্ঠে অন্যতম তাই আমরা বিশ্বজনীন।
ধর্মের ছায়ায় সবাই মোরা প্রভুতে থাকি আস্তিক,         
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান মুসলিম নহে কেহ নাস্তিক।
হাতে হাত ধরে বীরদর্পে মোরা পাশাপাশি চলি,
প্রীতির সাথে হৃদয়ের কথা প্রাণ খুলে বলি। 
শত বাধা বিঘ্নে মিলে মিশে চলি যেন সহোদর,
আগ্রাসীরা জানে জীবন দানে বাঙালির নেই ডর।                    
দুর্দমনীয় অদম্য মোরা শক্তিতে দমবার নয়,
দেশ মাতা রক্ষায় বীর জাতি সদাই অকুতোভয়।
অরিন্দম মোরা যুগে যুগে করেছি শত্রুকে দমন,
নহি কভু রােরুদ্যমান মোরা বীরপ্রসূর সন্তান।                       
অনুজ বলে ঈর্ষা প্রাণে, অগ্রজদের বীরগাথায়;             
আদ্যোপান্ত খুঁজলে পাবে ইতিহাসের পাতায়।
আমার কবিতা তোমাদের প্রাণে জাগায় কি শিহরণ?
বাঙালির দীপ্ত গাঁথা ইতিহাসবেত্তা থেকে করো আহরণ।
মূর্তমান বাঙালির এই কালানুক্রমিক অতীত কাহিনী,
টানলে হিসাব লাগবে পেটাবাইট ডিস্ক শতেক খানি। 
চাক্ষুষ কিংবদন্তি আমি, মুক্তিযোদ্ধাদের দেই অর্ঘ;       
প্রাণের স্বাধীনতা অর্জনটা নয় নাতিদীর্ঘ। 
অনেক রক্তে এসেছে জয়, এ যে দুর্জেয়;
ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিসর্জন তাই দুর্লভ শ্রেয়।
সারা দুনিয়ায় বর্ধিষ্ণু আজ আমাদের অর্জন,                       
তোয়াক্কা করিনা কোনো অসুরের তর্জন গর্জন।           
এতো ঐতিহ্যেও মনে আসেনা কোন অহংকার,         
রবাহুত হই ক্রান্তিকালে মাতৃভূমির বারংবার।