আমি প্রেম
যতই দূরে রাখতে চাও আমায়
আসি ফিরে তোমাতে বারবার,
জাগাই মনেতে সুখের উম্মাদনা
সৃষ্টির রহস্য লীলায় প্রতিবার।
হৃদয়ের গভীরে জন্ম আমার
রক্তের সাথে করি যে বসবাস,
দূরহ প্রাপ্তির আশা দুর্নিবার
আমি যে সুখের চরম নির্যাস।
রাজা থেকে প্রজা
কিষাণী থেকে রাণী,
সর্ব হৃদয়ে বাস আমার
সর্বত্রই আমি আদরিণী।
সাদরে আগমন আমার
ভেঙেচুরে করি প্রস্থান,
চলার পথে হলে ব্যত্যয়
হৃদয়ে গড়ে দেই ক্ষতস্থান।
সুখের ঘর বাঁধি যে আমি
তিল তিল আমার লালনে,
বিধ্বংসী রূপে করি চুরমার
অবজ্ঞা অবহেলার কারনে।
একে একে দু'য়ে মিলে
বইয়ে দেই সুখের প্রস্রবণ,
দু'য়ের অধিক হলেই সর্বনাশ
জীবন জানে তা কতটা ভীষণ।
রহস্যে ঘেরা আমি যে সদা
ধ্বংস আর সৃষ্টির সাথে বসবাস,
সুখ দুখের এপিঠ-ওপিঠ আমি
তোমাদের আষ্টেপৃষ্টে বারটি মাস।
অর্থের কাছে বিকাই না আমি
ভক্তি আর শ্রদ্ধায় যে পূজনীয়,
অসন্মান আর অবহেলায়
বুঝবে ক্ষতি কতটা অপূরনীয়।
একই ঘরে বসবাস করলেও
হয়তো পাবেনা আমার ছোঁয়া,
যুগ যুগান্তর পেরিয়েও তোমার
মনে হবে সকলি ধোঁয়া ধোঁয়া।
মরুর বালুকা রাশি যেমন বলে
একদিন আমরাও ছিলাম জলে,
মনেতে সপে মন ভজিলে তুমি
তবেই যদি আমার দেখা মিলে!
ছিলাম শাহজাদা সেলিমের অন্তরে
মহীয়সী আনারকলির আত্মবলিতে,
অ্যান্টনি, ক্লিওপেট্রা সে অজানা নয়
মূর্তমান এখনো আমি ট্রয় নগরীতে।
স্বীয় পথে অটল আবহ কাল ধরি
নাকাল বীর, কত দাম্ভিক কারি!
যদি মন সপে হও আমার পূজারী
স্বর্গ সুখে দেব তোমার জীবন গড়ি।