আমাদের গল্পগুলো অনেক পুরানো!
স্মৃতি গুলো অনেক সতেজ, ভোরের শিশিরে মতো।
তোমাকে দেখবো দেখবো করে, একটা যুগ পার হয়ে যাচ্ছিল।
এত্তো কাছাকাছি থাকার পরেও না দেখার বিরহে জলে যাচ্ছিলাম।
অথচ প্রথম দেখার অনুভূতি এতটা সাভাবিক সুন্দর ছিলো, যেন কতোযুগের অতি আপন দুটি আত্মা একান্ত আলিঙ্গনে।
যেখানে ছিলোনা কোনো আত্ম-অহমিক, কিংবা উঁচুনিচুর ভেদাভেদ।
হাজার বছরের না বলা কথা, না দেখার ভাষা!
কিছুটা চোখাচোখি, উষ্ণতা,অনুভূতি সবই ছিলো।
একসাথে কথাবলা,হাতে হাত রেখে পথচলা।
সমস্ত ঐশ্বরিক চাওয়া পাওয়ার একান্ত মিশ্রন।
রিকশার হুডিটা হঠাৎ ছোট হয়ে যাওয়ার কারণ দর্শানো মামা টার অনেক ধৈর্য্য ছিলো।
এত্তো কষ্টের পরেও আমাদের কে নিয়ে বহুদূর ছুটে চলা।
হয়তো মাথার উপর বিশাল বোঝার ভারে সমস্ত কষ্ট আর অনুভূতি গুলো জলাঞ্জলি দিয়ে আমাদের নিয়ে ছুটেছেন।
পিছনে দুটি আত্মার প্রথম আলিঙ্গনের সঙ্গী হয়ে নিজেকে ধন্য মনে করে, কিছুটা সুখ নিয়েছেন।
তুমি এসো না বলে বলে, সহস্রাধিক বার চাইতাম তুমি এসো! ভালোবেসে যাও, দিয়ে যাও আমাকে আরও কিছুদিন বেঁচে থাকার স্মৃতি।
সেই মনের লুকানো চাওয়াটা, কি অদ্ভুত ঐশ্বরিক ক্ষমতায় তুমি বুঝে নিতে।
কল্পনার অতীত তোমার অনুভূতি গুলো!
তোমার আগমনে স্নিগ্ধতায় ভরে যেত, আস্ত একটা পর্বতসম সন্ধ্যা।
হে সুহাসিনী, তোমার আগমনে মুখরিত সবুজ উদ্যানের সন্ধ্যা মালতী।
কাঁচা পাকা বেঞী গুলো উদ্বেলিত তোমার উষ্ণতায়।
কাঠবিড়ালী গুলো ছুটাছুটি করতো আমার পূর্ণতায়।
তোমাকে পৌঁছে দেয়ার বাহানায়, আর একটা মূহুর্ত কাছে থাকার বাসনায় কতো যে ছুটাছুটি।
সবুজ উদ্যান থেকে বিরহের জাম্বুরি, কিংবা গোলাপী ঠোঁটের আলিঙ্গনে মুখরিত আমার বসন্তকাল।
আমি মনে রাখবো, অনন্তকাল।
বার বার পিছনে ফিরে শুভকামনায় মত্ত বিদায়ী মুহূর্ত গুলো, আমায় ডাক দিয়ে যায়।
আবার এসো ফিরে আমার আঙ্গিনায়।