সেই তো আমার হাজার বছরের নিদ্রার খোরাক, আর একটা রজনী চাওয়ার আছে, তার কাছে!
সেই তো আমার সখের পাওনাদার।

ভালো থাকতে, থাকতে ও যে মানসিক চাপ হয়, সেইটা আমি বুঝি।

জীবন কি আসলেই কারো ইচ্ছাতে চলে?
না, চলেনা।

নিখাদ প্রিয়জন, যার শিরার অলিতে গলিতে আপনার যাতায়াত।
সে ও মনের মধ্যে গোপন একটা ইচ্ছা পুষে রাখে।
সে ছাড়া তার গোপন ওই ইচ্ছার জগতে কেউ ঢুকতে পারেনা।

আপনিও না, বরং যে শিরার অলি গলি আপনার চেনা,
সেই চেনা রাস্তায় একদিন আপনি ও ঢুকতে পারবেননা!
হঠাৎ মনে হবে আপনি অন্য দরজায় কড়া নাড়ছেন।

জীবন এমনি!
পরিবর্তনশীল মূহুর্ত  নিয়ে নিদ্রাহীন রাত্রিযাপন করে।

এই দ্রুতগতির পরিবর্তন নিশ্বাসের আগে আর পরে!
জল্পনায়, কল্পনায় আর উপাসনায়।

ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে সম্পর্ক ছিন্নের যন্ত্রণায় কাতরানো হাজারো জনপদ।

কখনো পিতা তার পুত্রের সাথে, ভাই তার বোনের সাথে।

কিংবা আস্ত পুরুষ, গর্বিত হচ্ছে নারী ভেবে।
এই পোশাচিক পরিবর্তনের যন্ত্রণায়, আমি আজ মানসিক ভারসাম্যহীন এক যাযাবর।

নিরুত্তাপ, চুপচাপ অবরোধ আর হরতাল ডেকেছে আমার অন্তরাত্মা।


   উৎসর্গ: বহ্নিশা 🦋