জানতামই না,তুমি কে,অপরিচিত মেয়ে,
জাদুবিদ্যাই কারিগরি,পারবে নাকো নহে!
সেই তো প্রথম আমার জ্যেঠুর ছেলের বিয়ে,
আমি ঐ একটু!তাকিয়ে ছিলাম,তুমি কেনো চেয়ে...
হড়কাবানের মতোই হঠাৎ ধাক্কা দিলে,
নজর খানি কেনো আমার কেড়ে তুমি নিলে?
আঁখি-শারে মিলে বলো,আহা!কি মায়াবি আকার।
ভ্রুর ওই নাচ দেখিয়া,পাগল...পাগল...,হাহাকার।
আলতো চাহনিতে মুচকে দিলে হাসি,
ভুলবো নাকো তোমার ওই মন কাঁড়ানো রাশি।
তাইতো আমি খুঁজে খুঁজি নিলাম পরিচয়,
তুমি নাকি জ্যেঠুর ছেলের মামার মেয়ে হয়।
তারপর রোজই ইচ্ছে বসি দেখার লগা ছুটি,
ঝিনুক ভরা মুখের হাসি,মুক্ত বসা বাটি।
মন ধাঁধানো ইশারা সেই কেমন ছলে বলো,
নিদ্রা তুমি কেড়ে নিয়ে,চোখের মাঝে খেলো।
বাহ!সবই ভালো!তবে,
এই সারিতে চলতে থেকে বছর পারি এলো,
মায়ার জালে আজও আছি,কোন ভাবনায় বলো?
দূর থেকে ওই হৃদয় গাঁথা চলবে কত দিন?
কোন কায়সে ভীতু মোরা?আমি বুদ্ধিহীন।
আধারের এই প্রেম খানি ফুটবে কবে হেসে?
আশার প্রদীপ জ্বেলে রেখে,ধরায় মোরা বসে।