তুমি কি জানো,
কবিরা ভিষণ দুঃখী হয়?
শরতের প্রস্ফুটিত কাশফুলের ন্যায়
কখনও হেসে ওঠে,
আবার বিষাদে মিলিয়ে যায়।
তারা ভালোবেসে হারায়
কারো চোখের মায়ায়।
অতঃপর মলিনতা তাদের খুব করে ছুঁয়ে যায়।

কবিরা কারো হাসির শব্দে প্রাণ পায়,
সেই হাসিরা কবির কবিতায় স্থান নেয়।
কবিরা লিখতে জানে শত কথা
তবু ভালোবাসতে ভয় পায়।

তুমি কি জানো,
কবিদের একটা আলাদা জগত থাকে?
সেই জগতে তারা ভিষণ অসুখী হয়।
'বাহ! বাহ!' বলে যখন পাঠক মন্তব্য জুড়ে দেয়,
তখন সে হাসে।
সে হাসি আবারও বিলীন হয়ে যায়।

কবিরা শব্দের খেলা খেলে আজন্ম;
সেই খেলা কারো লাগে ভালো,
কারো কাছে আবার অবহেলিত,
পরিণত হয় হাসি তামাশায়।

কবিরা পৃথিবী দেখে সুন্দর চোখে,
সাদা-কালোর মাঝেও সৌন্দর্য খুঁজে বেড়ায়।
বাকি সবার কাছে যা অতি তুচ্ছ,
তাতেই তারা খুব বেশি মুগ্ধ হয়।
কবিরা কারো অতি সাধারণ হাসিটুকুও
মনে গেঁথে নেয়।

কবিদের কবিতায় ছন্দ থাকলেও, জীবনে ছন্দপতন
সবার অগোচরে হয়।
কবিরা ভেঙে গেলেও কবিতারা এগিয়ে যায়,
অথবা কোনো এক মন খারাপের মাঝে
কবির সাথে তাল মিলিয়ে কবিতারাও থমকে যায়।