শুভ্র পত্র ভরিয়া ওঠে,
পেন্সিলের আঁকিবুঁকি তাহার বুকে।
কলম পড়িয়া পাশেতে
অপেক্ষারত বুঝি,
কখন পেন্সিলের জায়গা নিবে!
চশমার কাঁচ স্ক্র্যাচ পড়ে ঝাপসা,
অবহেলিত ঘড়িখানাও।
চিরুনি তো জানেই না চুলের খবর!
হয়তো মেয়াদ হারিয়েছে পাউডারটাও।
নোটখাতায় জমা ধুলোমাটি,
আর উল্টে পড়া জগখানি
জানে, কতটা অবহেলা পেয়েছে তারা
একটু যত্নে কেউ ছুঁয়ে দেখেনি।
এবছরের ক্যালেন্ডার আনা হয়নি আর,
গতবছরেই পড়ে আছে দিন।
সেবার বসন্ত এসেছিল জীবনে,
এবার তাই আসেনি?
খামে চিঠি পড়ে আছে,
কেউ হয়তো লিখেছিল খুব যতনে
অথচ খুলে আর দেখা হয়নি।
টেবিলের নিচে খবরের কাগজ
মনের খবর রাখেনি,
আনেনি কোনো নতুন খবর।
জীবন তেমনই রয়ে গেল,
বদলায়নি।
পাদুকা ময়লায় গড়াগড়ি খাচ্ছে,
হাতঘড়ির বিবর্ণ রূপ।
কাঁটা থেমে আছে মাসখানেক ধরে;
তারও হয়তো
এলোমেলো লাগে সব।