একটা কবিতা লিখব ভেবেছিলাম।
অনাবিল শোক বুকে চেপে
আমি রচনা করব আমাদের
ইতিহাস, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের গল্প।
ঈগলের পাখনায় ভর করে
উড়ে উড়ে দেখব রক্তে ভাসা দেশটাকে;
ঊরুভঙ্গ ছেলেটাকে, যুদ্ধে গিয়ে যে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে।
ঋজু পথে ঢল নেমে গেছে,
এদেশকে স্বাধীন করতে সে রক্ত ঢেলে দিয়েছে
ঐ যে, ঐ পথের ধারে।
ওইরূপ মেধাবী ছাত্র জীবন দিয়েছে বিলিয়ে
ঔজ্জ্বল্য ছড়িয়ে যে আলোকিত করতে চেয়েছিল দেশকে।
সে পারেনি, শকুন খাবলে খেয়েছে তাকে।
কল্পনায় হয়তো সে সাজিয়েছিল বহু স্বপ্ন;
খঞ্জরের আঘাতে অকালে খোয়ালো প্রাণ তার।
গগন বর্ষিল,
ঘনমেঘে পুঞ্জীভূত হয়ে জানান দিল নিজ ব্যথার।
আমি কবিতা লিখব ভেবেছিলাম।
কিন্তু কাকে দিয়ে লেখা শুরু করব,
ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না।
আবু সাঈদ, নবম শ্রেণির তাহমিদ
নাকি জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা
অসহায় বোনটাকে রাখব সূচনায়!
কোথা থেকে শুরু করব লেখা?
নোনাপানিতে চোখ ভেসে ওঠার কথা লিখব,
নাকি হারাবো মুগ্ধর মুগ্ধতায়?
লিখব? কিন্তু আমি যে আজ বাকরুদ্ধ!
ওরা বুলি কেড়ে নিয়েছে আমার।
লিখতে গিয়ে দেখলাম,
কলমের আঁচড়ে আর কালোর অস্তিত্ব নেই;
রক্তের প্রলেপে কবিতার খাতা একাকার।