একটি গল্প বলা হবে, তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে
লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী জনতা বসে আছে।
রক্তসমুদ্রে আশার আলো— দাবি মেনে নিবে বুঝি!
জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে:'কখন আসবে নেত্রী?'

এই নৃশংসতা এতদিন ছিলনা,
কারণ বশ্যতা স্বীকার করে নিয়েছিল সবে।
যখনই মতের বিরুদ্ধে গেল,
তার আসল রূপ দেখিয়ে দিল।
নেত্রী নয়, ডাইনি রূপে।

এত এত আহাজারি, আর্তনাদ
চোখ মেলে দেখে গেলেন তিনি।
চুপচাপ নীরব দর্শক হয়ে রইলেন।
ছাত্রলীগ, পুলিশ লেলিয়ে দিলেন ছাত্রদের বিরুদ্ধে।
২৫শে মার্চের কালো রাত্রির দর্শন আবারও ঘটল এ জমিনে।
তিনি নিশ্চুপ রইলেন।

লাশের পরে লাশ,
আহতের সংখ্যা অগণিত।
একসময় তিনি আসলেন;
ঠোঁটে লিপস্টিক, চকচকে নতুন শাড়ি
দামি গহনা হাতে, গলায়
সুন্দর করে সেজে হাজির হলেন জনতার সামনে।
এবার সুখবর দিবেন বুঝি?

এ আশা দুরাশাই রয়ে গেল।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গল্প শুনিয়ে,
দেশবাসীকে আবারও আওয়ামী-হানাদারের মুখোমুখি করে,
নিজেদের ক্ষমতা দেখালেন।
তিনি আরও একটি বিভৎস গল্প রচনা করলেন,
যা দেখে প্রকম্পিত পুরো বিশ্ববাসী।
অথচ তিনি রক্তের স্বাদ নিতে ব্যস্ত!
পাকিস্তান হতে মুক্তি পেলেও
মুক্তি মিলল না নেত্রীর থেকে।
আবার কবে হাসবে এ পরাধীন জাতি?