মোহাম্মদ হোসাইন একবিংশ শতাব্দীর এক নিভৃতচারী কবি। কবিতার সাথেই তাঁর সখ্য, দিনমান কবিতার নান্দনিকতা নিয়েই পার করেন। কবিতার রাজ্যে হাঁটিহাঁটি পা পা করে পাড়ি দিয়েছেন দীর্ঘপথ। চিল যেমন তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিয়ে শিকার খোঁজে কবি মোহাম্মদ হোসাইনও তেমনি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রকৃতিকে, সমাজকে, রাষ্ট্রকে তথা মানবজীবনকে অবলোকন করেন। যার প্রভাব আমরা দেখতে পাই তাঁর কাব্যের পংক্তির ভাঁজে ভাঁজে। বিষয়-আশয়, বৈচিত্র্য-ভিন্নতা সবই আছে তার কবিতায়। তিনি বেদনাকে উচ্চারণ করেন প্রকৃতির অনুসঙ্গে, আনন্দকে উচ্চারণ করেন বিনয়ের উষ্ণতায়। কিন্তু চিন্তা চেতনায় স্বদেশ- আন্তর্জাতিকতায় বর্ণাঢ্য উজ্জ্বল এই কবি কাউকে ছাড়িয়ে যাবার জন্য নয়,  নিজেকেই ছাড়িয়ে যাচ্ছেন এক কাব্য থেকে আরেক কাব্যে।  

পেশা হিশেবে শিক্ষকতা বেছে নিলেও মূলত কবিতা চর্চাই হচ্ছে তাঁর ধ্যান-জ্ঞান। খুব ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন অত্যন্ত ভাবুক প্রকৃতির। সাধারণ মানুষ যেখানে প্রকৃতি দেখে কেবল বাহ্যিক চোখ দিয়ে কবি মোহাম্মদ হোসাইন সেখানে মেলে ধরেন হৃদয়ের চোখ। শিশুরা যেমন বিশেষ খেলনার প্রতি সহজাত প্রভৃতির কারণেই আকৃষ্ট হয়ে ওঠে তেমনি কবি মোহাম্মদ হোসেনও সহজাতভাবেই প্রকৃতি প্রেমিক হয়ে ওঠেছেন। আর সে প্রেমের ছায়া অবলীলায় পড়েছে তাঁর কাব্যে। প্রেম তার কবিতার প্রধান বিষয় হলেও আবহমান বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর সামাজিক সাংস্কৃতিক জীবনের নানান খুঁটিনাটি চিত্র অবলীলায় উঠে এসে তাঁর কবিতাকে করে তুলেছে বর্ণময়।

তাঁর প্রকাশিত কাব্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
• ভালোবাসা নির্বাসনে গেছে (১৯৯৫)
• মেঘগুলো পাখিগুলো (২০০১)
• অরণ্যে যাবো অস্তিত্বে পাপ (২০০৩)
• পালকে প্রসন্ন প্রগতির চাকা (২০০৪)
• ভেতরে উদগম ভেতরে বৃষ্টিপাত (২০০৬)
• মেঘের মগ্নতায় রেশমি অন্ধকার (২০০৯)
• বৃষ্টির গান মায়াবাস্তবতা (২০১২) প্রভৃতি।

তাঁর ‘বৃষ্টির গান মায়াবাস্তবতা’ কাব্যটি ২০১২ সালে স্বরবৃত্ত প্রকাশন থেকে বের হয়েছে। কাব্যটিতে মোট ৪৯ কবিতা রয়েছে। প্রচ্ছদ করেছেন নিয়াজ চৌধুরী তুলি। কাব্যটির বিশ্লেষণে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। যথা:
ক. প্রেম
খ. শ্রেণি বৈষম্য
গ. পুরাণ
ঘ. ইতিহাস-ঐতিহ্যতা
ঙ. সমকালীন বাস্তবতা
চ. রাজনীতি ও সমাজনীতি
ছ. মানবতা
জ. দেশপ্রেম
ঝ. সামাজিক বিচ্যুতি
ঞ. বিশ্বাঙ্গনের অস্থিরতা
ট. প্রকৃতিপ্রেম
ঠ. আত্ম অস্থিরতা ছাপ
ড. বিবিধ


জীবনকে তিনি উপলব্ধি করেছেন একেবারে নিজরে মতো করে। সংসার জীবনের ক্ষতাক্ততা তাঁকে অনেকটাই ভাবিয়ে তুলেছে।  হিশেব করতে হয়েছে পাওয়া না পাওয়ার। আর সে ছাপ তার কাব্যেও লক্ষ্যণীয়।

এবং
মায়া চলে গেছে যাদুবাস্তবতায়
আমরা যারা বোকা ছিলাম, ভালোবাসাবাসি করতাম
আর অন্ধকারে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়াতাম।
-----------------------------------------
যেমন অন্ধকার মিশে থাকে প্রতিটি ছায়ার নির্জনতায়
দূরাকাশের তারায় তারায় যেমন ভালোবাসা কানাগলিতে যায়
তেমনি চলে গেছে মায়া- মায়াবাস্তবতা
উৎস: বৃষ্টির গান মায়াবাস্তবতা, পৃষ্ঠা:০৭


তার সাহিত্য বর্ণময়, ভাব প্রসঙ্গে সমৃদ্ধ, অভিনব রেখায় লীলায়িত। মানব জীবনের জটিল, গভীর ও ব্যাপক স্বপ্ন-কল্পনা, ভয়-ভাবনা, জিজ্ঞাসা- আকুতি, আনন্দ-বেদনা, ইন্দ্রিয়ানুভূতি, তাঁর বিচিত্র মনের ক্যানভাসে রং ও রেখায় সীমাহীন কারু-কুশলতায় সে সাহিত্য স্বপ্রকাশ। মানব চেতনার বিচিত্র বর্ণের রেখার রসের বিচিত্র বাসনার যেমন সীমা নেই তেমনি বস্তু বিশ্ব ও জীবন দৃশ্যের প্রক্ষোপটে তাঁদের বিচিত্র রূপেরও কোন সীমা নেই। কাজেই মোহাম্মদ হোসাইনের কাব্যসাহিত্যও এক বিচিত্র সাহিত্য! কাব্যে উপমার প্রয়োগে কবি বেশ সিদ্ধহস্থ। হৃদয়ের রঙ-তুলির নিখুঁত আঁচরে উপমাগুলো তাঁর কাব্যে প্রস্ফুটিত ফুলের মতোই যেন সুবাস ছড়াচ্ছে।

“জানালার ফাঁক গলিয়ে গ্রীবা বাড়িয়ে দেয় ভোরের জিরাফ,
পাশের ছাদে কেউ হয়ত পিয়ানো বাজায় তখন,
কেউ বা আকাশের নীল দিয়ে ছবি আঁকে”
উৎস:  স্ত্রী, পৃষ্ঠা:০৮


কানুগীত, বসন্তে-এমন দিনে, মর্মপীড়া, তোমাকে, ও মনপুরা, অর্পিতা, কাঁচা হলুদের গ্রাণ কবিতাগুলোতে সমকালীন সময়ের ঘাত-অভিঘাতের বিশেষ ব্যঞ্জনা রয়েছে।  জগৎ ও জীবনকে তিনি ভোগ করতে চেয়েছেন পূর্ণমাত্রায়- এ ভোগ জীবনের আঁধারে চিরন্তন রূপ রসের ভোগ। এদের মধ্যেই তিনি অনুভব করেছেন আমিত্ব ও অনন্তকে; শত সহস্র সৌন্দর্য ও মাধুর্যকে।

“বুঝলে মিহির, সংসার করতে নুন মরিচ লাগে, তেল ডাল লাগে
খালি খালি ঝোল হয় না, চচ্চরি হয় না, জল ও গরম হয় না
বুঝলে পীযুষ খালি আঙুল খালি মুখেও যেতে চায় না”

উৎস: এই আমি আর আমার ভালোবাসা, পৃষ্ঠা ১৮

তার বৈচিত্রময় প্রকাশ ক্রমাগত রূপ হতে রূপে, রস হতে রসে অগ্রসর হয়েছে। বাহিরের স্থির প্রকাশের সঙ্গে কেমন একটা অতৃপ্তি বোধের ক্ষীণ সুর যেন লেগে আছে। নতুনত্ব ও বৈচিত্রের আকাঙ্ক্ষা যেন তাকে ক্রমাগত পরিচালনা করেছে। পুরাতনের পুঞ্জিভূত জঞ্জাল দূর করে, রূপ রসের সীমা অতিক্রম করে, তিনি নবতর প্রকাশের মধ্যে অবতরণ করেছেন, আবার যাত্রা করেছেন সেখান থেকে ভিন্ন পথের অভিমুখে। ফলে তাঁর কবিতার বিকাশ বহুমূখী এবং সাহিত্য সৃষ্টিতে এসেছে বিপুল বৈচিত্র্য।

“একদিন সামান্য শোভার আশায়, রঙধনু রঙের আশায় আমি আমার জীবনের
অসামান্য সময়কে খুন করেছিলাম
এই জৈষ্ঠ এই মুধুমাস আমাকে বলে দিয়ে গেছে ভালোবাসা মরেন নি
ভালোবাসা আছে এখনও এ পথে প্রান্তরে, বাংলার প্রতিটি কোনায় কোনায়
রশ্মি ও রেখায়!

উৎস: এই জৈষ্ঠ্যে, ২৩

কবিতা মানেই শিল্পের সংশ্রব। কবিতা মানেই তো পৃথিবীর বাহ্য ও অন্তরালের সুপ্ত সংগীতময়তাকে ভাষা দান। শিল্পের বুননে নিজের সৃষ্টিশীলতার প্রকাশ। মোহাম্মদ হোসাইন শিল্পের শহরে সেই কবিতার প্রাসাদ গঠনে নিঁপুণ কারিগর। নিচের পংক্তিদ্বয় নিঃসন্দেহে তার সাক্ষর বহন করে।

“ঘুরতে ঘুরতে সেই গোলচত্বর- সেই আড়াই হাজার রাত
দুপুরের রোদ মুখে ঘষে যায়, ইশারায় বলে দারুণ খিলের গল্প”

উৎস: মর্মপীড়া, পৃষ্ঠা: ১১

তাঁর কাব্যে মানস দেবি হিশেবে তিনি অর্পিতা ও সুতুপাকে কল্পনা করেছেন। তবে এ নামদ্বয়ের মধ্য দিয়ে সার্বজনীন প্রেমিকাদেরকেই বোঝানোর চেষ্টা করেছেন।



“ভেবেছিলে দূরে গেলেই ভুলে যাওয়া যাবে
ভেবেছিলে সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকার- কে কাকে চেনে
-----------------------------------------
প্রেমের মর্মার্থ বোঝ নি যখন এ তোমার দায়
বঞ্চনাও এক ধরনের প্রতিশোধ। তুমি নিজেই নিজের অবোধ শিকার
যে নদী কুচকে গেছে বিকেল শরীর তার”-

উৎস: অর্পিতা, পৃষ্ঠা ১৫

সমকালীন বাস্তবতা তাঁর কবিতাতে অনন্যতা দান করেছে। বাস্তবতার যুপকাষ্ঠে আমরা অনেকেই জর্জরিত। তবুও ভদ্রতার খাতিরে তা প্রকাশ করতে নারাজ। জীবনের এই ক্ষতাক্ত রূপগুলোই অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তাঁর কাব্যে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। যেমন:

“প্রায়ই নতুন মলাটের পুরনো বই দাম দিয়ে কিনি তার ঘ্রাণ শুঁকি-কাঁচা হলুদ ঘ্রাণ
দিনেদিনে স্ফীত হয় ঋণের দলিল
আমি তার কেনা দাস আজন্ম লুটাই যেখানে আখোলা শরীর”।

উৎস: কাঁচা হলুদের ঘ্রাণ, পৃষ্ঠা: ১৬

উচ্ছাস ও আবেগের পরিমিতি বোধ তাঁর কাব্যকে নতুনত্ব দান করেছে। নিজের মতো করেই তিনি রোমান্টিক ভাবের স্বতস্ফূর্ত প্রকাশ করেছেন।

“তাকে ঠোঁটে করে নিয়ে চলি, পাখি যেমন নেয়। এখানে ওখানে বাসাবাসি, বুকে বুকে রাখি। ঝড় এলে নরম পাখনায় লুকোই।
খুঁদ-কুড়া খেতেদি’ রক্তে রক্তে পুষ্ট করে তুলি”।

উৎস: বিষ লহরী, পৃষ্ঠা: ১৭

‘রক্তাক্ত পিলখানা’ কবিতাটিতে মোট ছয়টি প্যারা রয়েছে। তবে অপ্রিয় সত্য হলো প্রথম দুই প্যারার সাথে পরবর্তী প্যারাগুলোর বিচ্ছিন্নতা লক্ষ্যণীয়। আর সে কারণে কাব্যের মানও কিছুটা ক্ষুণ্ন হয়েছে বললে অত্যুক্তি হবে না। তবে ‘আমার স্বাধীনতা’ কবিতাটিতে চমৎকারভাবে তাঁর প্রতিভার স্ফুরণ ঘটেছে।

পাশ্চাত্য কবিদের মতো তার ‘কবি সন্ধ্যা’ কবিতায় সমসাময়িক কবিদের নাম ও তাদের কাব্যের নাম তুলে এনেছেন কাব্যিক ছলাকলায়। সুমন কুমার দাস, জফির সেতু, সরকার আমিন, মোস্তাক আহমাদ দীন, কিশোর ইবনে দিলোওয়ার, সুতুপা প্রমুখের কাব্যস্মৃতি অবলীলায় তুলে এনেছেন শৈল্পিক ভঙ্গিমায়। ‘শ্যামল গ্রাম’ কবিতাটিতেও সুতুপার কথা উঠে এসেছে। তার নিত্য সুখ-দুঃখের কথা উঠে এসেছে।  আজ পহেলা বৈশাখ, পণতীর্থ, মাপ জোখ, সেই মুখ, স্বপ্ন ও একটি তুঁত গাছ, উল্টোরথ প্রভৃতি কবিতাগুলো নিঃসন্দেহে কাব্যটিকে বিশেষ ব্যঞ্জনা দান করেছে।

কবি শব্দ নিয়ে খেলতেই বেশি ভালোবাসেন। শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে নতুন ভাব আনয়নে তাঁর জুড়ি মেলা ভার! শিল্পের হাট-বাজারেই যেন তাঁর নিত্য বসবাস! কল্পনা ও বাস্তবতার মিথস্ক্রিয়ায় তিনি বুনন করে চলেন নিপুণ কাব্য শিল্প। যেমন:

“কবি কি সব সময় লিখে, না লিখতে হয়?
ভিজতে ভিজতে সাদাপাতাগুলো মেঘের পালক হয়ে যায়
গুচ্ছ গুচ্ছ জুইফুল হয়ে যায় তখন কবিতা যেন পংক্তির অরণ্য
---------------------------------------------------------
তীব্র জলের স্রোতে কেটে নেয়া আঙুল কী করে দেখাই
শব্দের শূন্য থালা যখন গভীর গহ্বরে হারায়”।

উৎস: শব্দের শূন্য থালা, ২৫


বিশ্ব পরিমণ্ডলকে নিয়ে তাঁর মৌলিক ভাবনার ছাপ কাব্যের মাঝে লক্ষ্যণীয়। বৈশ্বিক অস্থিরতাকে শব্দে শব্দে তাঁর কাব্যে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ফুটিয়ে তোলেছেন। যেমন:

“গৌতমকে বলেছিলাম, এত ধ্যান কীসের?
চারপাশে এতএত মরা, এতএত ঝড়, এত বান-বন্যা, ঘরে ঘরে জনে জনে এত হানাহানি, এত ঈর্ষা-পরশ্রীকাতরতা যে যেভাবে পারে সে সেভাবেই বল খাটাচ্ছে, স্পর্ধা দেখাচ্ছে,
কেউ গীতা কেউ বাইবেল, কোরান-পুরাণ কেউবা অহিংসনীতি নিয়ে মাঠ
দাবড়াচ্ছে,
-------------------------
পাশের কচি শিমুর মুখটিকে কেউ দেখছে না, বৃদ্ধ মা-টিকে দেখছে না
সুন্দরবন পুড়ে যাচ্ছে, যুদ্ধবিমাণ টহল দিচ্ছে লিবিয়ার আকাশ…”

উৎস: গৌতম,  পৃষ্ঠা: ৩৩

‘টুপি খোলা’ কবিতাটিতে কবিতা হয়ে উঠার আবহ আছে তবে মনে হয় তা পুরোপুরি হয়ে ওঠেনি। ‘বৃষ্টির মেহফিল’ কবিতাটিতে মানস কন্যা স্বরূপ অর্পিতাকে সার্বজনীন করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও তা অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ!

গতিশীল সময়ে অনেক কিছুরই পরিবর্তন ঘটে। পরিবর্তনই হচ্ছে প্রকৃতির ধর্ম। আর আমরাও সে পরিবর্তনের বাইরের কেউ নই। কালের হাওয়ায় সে পরিবর্তের ছাপ আমাদের জীবন এবং যৌবনকে অনায়াসেই ছুঁয়ে যায়। যেমন:

“চন্দনার বিয়ে হয়, ফলবতী হয় কামিনী কাঞ্চন…
অথচ রাতে আমার ঘুম আসে না
কানাগলি, টিয়ারসেল আগুনের হলকা অস্থির করে তোলে
তখন দূরে চলে যাই
দূরে গিয়ে দেখি দূরের চিত্র, দূরের আকাশ”

উৎস: দূরের কার্ণিশ, ৬২

সময় ও স্রোত চির বহমান। তা যেমন কারও জন্যই অপেক্ষা করে না, তেমনি ব্যক্তিজীবনের অপূর্ণতাও কারো জন্য থেমে থাকে না। সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না নিয়েই জীবন চলছে, চলবেও। তবে অপ্রিয় সত্য হলো জীবন চলে জীবনেরই মতো, ঠিক নদী যেমন চলে নদীর মতো!  

“কোরো কথাই এখন আর মনে রাখি না। পাথর ভালো আছে, ভালো আছে
পাথারও, কোনদিন কথা হলো, জানা হলো কী হলো না, এ নিয়ে মনে রাখারই বা
কী আছে।
--------------------------
আমি ভালো আছি। ভালো থাকা বড় ভালো”।

উৎস: পাথর ভালো আছে, ৬৩

ব্যক্তিক উজ্জ্বলতায় দীপ্যমান কবি মোহাম্মদ হোসাইন সত্যিকার অর্থেই মাটি ও ঐতিহ্যের রূপকার। সমকালীন কাব্য সাহিত্যে তাঁর  মৌলিক সৃষ্টি ‘বৃষ্টির গান মায়াবাস্ততা’ নিঃসন্দেহে স্থায়ী আসন লাভের দাবি রাখে।


-------------------
মুনশি আলিম
২৭.০৭.২০১৫
জাফলং, সিলেট