শীতের সকালের কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় আমি দেখতে পাই সেই অপরিচিতাকে যে কিনা আমার কাছে অপরিচিতা হয়েও পরিচিত মনে হয় শত সহস্র বছর ধরে।
আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজের চোখের ভিতর আমি দেখতে পাই সেই মায়া যার সন্ধান করেছি যুগের পর যুগ, বছরের পর বছর তবুও তার দেখা পাইনি কভু।
হয়তো এই মায়াও শত সহস্র বছর ধরে ঐ অপরিচিতার অপেক্ষায় বিভোর ছিল,হয়তো তার দেখাতেই এখন মায়াগুলো জাফলং এর ঝরনার মতো প্রবাহিত হতে চাইছে।
বর্ষার বৃষ্টিতে টিনের ঘরের সেই ঝুম ঝুমাঝুুম শব্দে কেন জানি বারে বারে আমার মন ডাকে, মনে হয় এ যেন আমার সেই নৃত্য পাগল অপরিচিতার পায়ের সেই নুপুরের শব্দ।
যখন ফাগুনের কৃষ্ণচূড়ার লাল থোকা থোকা ফুল দেখি তখন মন চায় এক থোক ফুল আমি আমার সেই অপরিচিতার ঘন কালো কেশ মঞ্জুরিতে গুজে দেই তখন যে সে চাঁদের মতো কিরণ দিবে।
আমার কাছে বার বার মনে হয় সে ফাগুনের ঐ সাদা নীল আকাশ, তাইতো আমিও বার বার ঘুড়ি হয়ে তাকে ছোয়ার নিছক চেষ্টা চালালাম কিন্তু একসময় সুতো কাটা ঘুড়ির মতো পারি জমালাম অনির্দিষ্ট গন্তব্যে তাও তাকে পেলাম না।
সে সবই জানে শুধু এটা জানেনা যে সেও কারও জীবনে ফাগুন, তার প্রবেশও কোনো রুক্ষ, জীবনহীন মরুভূমির বুকেও সজীবতা আসতে পারে।