অবশেষে আমিও বৃদ্ধ হলাম,হাতের দিকে তাকিয়ে দেখি "ওমা এত চামড়া টামড়া সব কুঁচকে গেছে, দাঁড়ি, গোঁফ সব পেকে একাকার।" তবু মনে হয় যেন আমি সেই ১৮ বছরের যুবক।
তোমারও হয়তো একই অবস্থা, হয়তো আমার মতো তোমার চোখের নিচে ভাজ, হয়তো বার্ধক্যের জন্য হাঁটতেও পারো না ঠিক। তাও তোমার মন সেই তারুণ্যেই আাছে। বুঝলাম কীভাবে?
সেদিন দেখলাম তোমার বিয়ের সেই লাল টুকটুকে বেনারসি পড়ে আয়নার সামনে হাসছিলে। আমার বেলকনি দিয়ে তোমায় রোজ দেখি। তুমি আমার বাতের ব্যথার ঔষধের মতো। যদি একবার না দেখি কেমন যেনো হৃদয়ে হালকা ব্যথা অনুভূত হয়।
ঠিক যেমন হতো ১৮ তে। তোমায় একনজর দেখার জন্য একটা আস্ত গ্রাম পাড়ি দিতাম কোনো ক্লান্তি ছাড়া। তোমার কন্ঠস্বরকে তখন ভয়ও পেতাম বেশ। শেনামাত্র নিশ্চুপ হয়ে যেতাম আমি।
একদিন তো তুমি আমার নাম ধরে ডাকায় আমার শরীরে কাপুনী লেগেছিল। হাত পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল জানো? তাও তোমায় পরেরদিন দেখতে গিয়েছিলাম দ্বিগুণ উৎসাহের সাথে। ।
কিন্তু ভাগ্যের কী সুন্দর পরিহাস দেখো আমি যাতে তোমার কন্ঠস্বর শুনে কাঁপতে কাঁপতে মরে না যাই তাই তোমায় আমি পেলামই না। এখন আর তেমন কাপি না, ভয়ও পাই না, তেমন। শুধু মাঝে মাঝে অনুশোচনা হয় তীব্র।
না পাওয়ায় ভালোই হয়েছে বলো। নাহলে তো তোমায় আমি এখন এতো আগ্রহের সাথে বেলকনি দিয়ে দেখতাম না। শুধু শুধু তোমার কথা মনে করে একা একা হাসতাম না। তোমার জন্য এমন একা একা কবিতা লিখতাম না। ভালোই হয়েছে বলো.....