আমার জীবনের প্রথম হিরো আমার বাবা।
শুধু হিরো বললে ভুল হবে,
বাবা আমার সুপার হিরো।
আমার মনে হতো, বাবা সব পারে।
আমি যদি বলতাম বাবা চাঁদটা দরকার,
বাবা মনেহয় মই এনে তাই পেড়ে দিতেন।
ভীষণ অবাক হতাম!
বাবাকে যা বলতাম,
বাবা ঠিক ঠিক তাই তাই আনতেন।
একটু জ্বর হলে, বাবা সারারাত জেগে থাকতেন।
বাবা মাথায় হাত রাখলেই মনে হতো,
টেম্পারেচার টুপ টুপ করে নেমে যেতো।
পরম শান্তিতে বাবার কোলে
ঘুমিয়ে থাকা ছিলো স্বর্গরাজ্য।
আমার মনে আছে,
তুমি আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে যেতে
নানান গল্প বলে।
তারমধ্যে নানান রকম আবদার তো থাকতোই!
ভীষণ জ্বালাতন করতাম।
কি ভাবে যে সহ্য করতে! ভাবলে অবাক হই।
নিজে হাতে খেতে হতোনা,
খাইয়ে দেবার কাজটা তোমারই ছিলো।
খাওয়া নিয়েও কম জ্বালাইনি তোমাকে।
একবার খাবার মুখে দেবার জন্য
বহুত কাহিনি করতে হতো।
একগ্লাস দুধ আমাকে খেতেই হতো।
যেভাবেই হোক আমাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে খাওয়াতেই!
মনে আছে, গ্লাসটাকে আমার মনে হতো একটা ড্রাম। তোমার ভালোবাসার খাতিরে নাও বলতে পারতামনা, অনুরোধে ঢেঁকি গেলার দশা হতো।
বাবা তোমার কথা ভীষণ মনে পড়ছে।
বিশেষ করে, তোমার দেওয়া নাম গুলো..
তোমাকে খুব জ্বালাতাম, তুমি বিরক্ত হতেনা।
পঁচা, বুড়ী, আরো কতো যে নাম ধরে ডাকতে!
আর আমি সব ডাকেই সাড়া দিতাম।
অনেক মিস করি বাবা,
বিশেষ করে তোমার আদর করে ডাকা নামগুলো।
বাবা তুমি ভালো থেকো।
আল্লাহ তোমাকে বেহেশতের
সর্বোচ্চ স্থানে রাখুন এই দোয়া করি।
কোনো এক বাবা দিবসে লেখা