যুগের ছায়াতলে, অতলে কি অসীমে
দিগ বা দিগন্তে, দর্শিবে যতদূরে-
হতাশার খেলাঘর খেলিবে নিষ্ঠুর!
সেকালে গগণ সম সান্তনারাও আসিবে সসীমে।

যুগের পরিহাস, নিষ্ঠুর কি তবে?
অহমিকা সব ধূলিবে নিঃস্বরে।
পাইতে কাছে ক্ষণিকের তরে,
বিধাতার পানে যাচিবেই মোরে!

মান-অভিমান গুলো তুচ্ছ করে-
বিন্দু ফিরিবে আপন ঘরে।
যাচি মঙ্গল,প্রদিয়ে প্রার্থনায় বল-
নিজের ভুলগুলির মার্জনা করিবে অনর্গল।

এখনও যেমন- তোমার লাগি আছি,
তখনও বলিব, “বিন্দু- তোমাকেই ঘিরে বাঁচি।”
অভিযোগ সবই রূপায়িত হবে ভালোবাসায়,
‘বিন্দু!’- তোমাকে দর্শে বাঁচি আশায়।

সব তমানিশি ঘুচিবে তোমার- কোনো এক কালে:
তব হৃদয় চিৎকার করে আওয়াজ দিবে তুমি ফিরে এলে!
কুলজুড়ে তোমার পর প্রজন্ম-
বেড়ে ওঠবে হেসে-খেলে,
সকল স্বপ্ন তোমাকেই ঘিরে ‘বিন্দু!’
বাস্তবায়িত হবে তুমি এলে।

এক যুগ নয়-
হাজার যুগ যদিও যায় চলে-
সহস্র নিশি প্রতিক্ষায় থাকিব
‘বিন্দু!’- তবুও তুমি এলে!
দর্শন করি তোমার অবয়ব-
নিশ্চুপ থাকি, বিনা বুলে বলে।

তবুও ধন্য-
‘বিন্দু!’ তুমি যতসব চলো বলে!

দারখানা মোর প্রশস্ত পাইবে
যদিও যুগের অন্ত চলে,
‘বিন্দু!’- পেছন ফেরে তাকিয়ে দেখি
এইতো বুঝি তুমি এলে!

সাধনায় নয়, বশিকরনে নয়-
ফিরে পেতে তোমাকেই চাই
ফিরিবার লাগি সর্বক্ষণে-
‘বিন্দু!”-
হৃদয়ের বাচ্যে তোমাকে আহবান জানাই।