যে গাছ জন্মে অন্যের আশ্রয়ে তাকে বলি পরগাছা,
অন্যকে আকড়ে ধরে তার জীবনে টিকে মরা বাঁচা।
সে পরাজিত যদি না বাঁচে তার মূল,
অন্যকে আকড়ে বাঁচে সে, তাই জীবনের ভুল!

জনাজনে জিজ্ঞাসিয়ে হয়েছে ভাই জানা,
পরগাছার ন্যায় জীবনে তাই বাঁচতে আছে মানা।
যে জীবনে বুঝে না হায়, তার জীবনের মানে,
সে যে ক্ষণ জন্মা, তা সে ভালো করেই জানে!

জীবন খেয়ার পারাপারে না করতে হয় তাড়া,
তরী বলে পারি জমাতে জনতায় দেয় সাড়া।
তার জীবনটা ক্ষণের হওয়ায়, যৎ সামান্য পারে-
মানুষেরে সেবিতে তার সবই তো যায় মরে!

কিন্তু হঠাৎ তার মূল যদি ঘুনাক্ষরেও জানে-
আকড়ে যাকে ধরেছে সে, সেই মূল ধরে তার টানে!
তথায় ভাবে সে, কিই বা আছে আজ তার মান-
আমার আশ্রয়দাতায় আজিকে আমায় করিতেছে উস্থান!
জীবন তরীতে তার অবশেষে এসে প্রান্তিকতায় জানা
বাঁচিতে জীবনে, ছোট আর বড় নিজ শিকড়কে মানা!

হতাশায় শেষে পরগাছটি বলে- “শিকড় যদি গাঁথো
তবে মাটিতে শক্ত হয়ে আটো.
যে মাটি তোমারে সুযোগ দিয়েছে, দিয়েছে কত আদর-
জীবনের তরে যতদিন রবে কর তাঁরে কদর!”