আমাকে আমি খুঁজে পাই
নির্মল বায়ুতে।
যে কাটাতারের বাঁধন ভেঙ্গে
ঘুরে বেড়ায় সারা বসুধায়,
গোত্র, বর্ণ জাতি না মেনে
পরশ ছোঁয়ায় সবার দেহেতে ।
আমি শীতল পরশ বুলিয়ে দিই
সকল সৃষ্টি ও প্রকৃতির গায়;
যেমনি থাকি মরুভূমিতে
তেমনি থাকি সাগর মাঝে,
যেমন থাকি দশ তলাতে
তেমন থাকি গাছতলায়।
আমি সকলের মুখে হাসি ফুটাতে
করেছি এক কঠিন পণ,
তাই অক্সিজেনে সমৃদ্ধ হয়ে
জয় করে নিই সবার হিয়া,
কিন্তু দুর্গন্ধ, ধুলি আর কালোধোয়াগুলো
কুড়ে কুড়ে খায় আমার মন।
আমি খেলা করি ধানের ডগায়
কিশোরীর খোলা কেশে।
আনন্দে নাচি কৃষাণ বধুর
হাতপাখারই নীচে,
ঝাপটা দিয়ে পাখিগুলো যখন
নীড়ে ফিরে যায় হেসে।
যখন দেখাই প্রতিবাদী রূপ
কাঁপন ধরে যায় সংসারে;
সিন্ধু বারি ও মরু বালি দিয়ে
জলোচ্ছ্বাস আর সাইমুম গড়ি,
সব দুমড়ে মুচড়ে একাকার করে
সাবধান করি মানবেরে ।
আমি ব্যথিত হৃদয়ে আফসোস করি
কৃষকের ঘাম দেখে,
তবে কি ব্যার্থ হয়েছি আমি?
এই ভাবনায় ঘাম শুকাতে ছুটে চলি
খেলা ও কাজ রেখে।