তুমি কী বুঝো
কেন নীরবে ঝরে অশ্রুজল
তুমি কী বুঝো
কেন নীরব মনের ভাষাগুলো প্রাঞ্জল?
তুমি কী বুঝো
কেন ভায়োলিনে বাজে বেদনার করুণ সুর
তুমি কী বুঝো
কেন দিগন্ত থাকে ওই বহুদুর?
তুমি কী বুঝো
কেন রাতের নিস্তব্ধতা জেগে থাকে
তুমি কী বুঝো
কেন কষ্টরা বাঁচে ত্যাগে?
তুমি কী বুঝো
কেন বৃষ্টির জল পাহাড়ের কোলে ঝর্ণা হয়ে দোলে
তুমি কী বুঝো
কেন প্রতিহিংসার আগুন গোলা বারুদে জ্বলে?
তুমি কী বুঝো
কী হাহাকার নিত্য করে চিৎকার আমার বুকে
তুমি কী বুঝো
কেন কৃষ্ণচূড়া হয় লাল টুকটুকে?
তুমি কী বুঝো
কেন দিন শেষে সূর্য চলে অস্তাচলে
তুমি কী জানো
তোমায় নিয়ে কী কথা হয় পর্দার অন্তরালে?
তুমি কী বুঝো
কেন সাগরের বুকে নীল ভাসে
তুমি কী বুঝো
কেন অসহায় মানুষগুলো থাকে উপবাসে?
তুমি কী বুঝো
কেন কাশফুল প্রিয় শরতের চোখে
তুমি কী বুঝো
কেন কোকিল বসন্তে ‘কুহু’ ডাকে মহাসুখে?
তুমি কী বুঝো
ভালোবাসার গভীরতা কত
তুমি কী বুঝো
বিরহেরও শানশৌকত তত!
তুমি কী বুঝো
কী চাই আমি, কী আমার চাওয়া
তুমি কী জানো
তুমিই আমার রোগ সারাবার শেষ দাওয়া!


রচনাকাল
০১.১২.২১