কবিতা কবির অলংকার
মনোবেদনার হাহাকার
ছন্দ, মাত্রা ও শব্দের কারুকার্য সাজানো সে অহংকার!
কবি ভাবেন, মুগ্ধ নয়নে দেখেন
জীবনের রং, অনুভূতি
কল্পনায় সাজান আগামীর পৃথিবী!
সুদূরের প্রতি গভীর মোহ, প্রকৃতির প্রতি বাঁধভাঙা আকর্ষণ
সুক্ষ সৌন্দর্যবোধ
কবির প্রেমানুভূতিকে দারুণ ভাবে শাসন করে!
কবি লিখেন ভাব রস দিয়ে
জীবনের স্মৃতি, বিরহ, বঞ্চনা ও ভালোবাসার অনুভূতি
জীবন্ত করে তোলেন মনের ভাবনার অন্তর্নিহিত গীতি !
গড়েন বর্তমানের সাথে আগামীর সম্প্রীতি
ফুটিয়ে তোলেন সমাজ, সভ্যতা ও
আধুনিকতার কাব্যিক অবয়ব, নান্দনিক রূপ।
ধারণ করেন নৈসর্গিক রাত্রির যাপিত জীবন,
জোছনার আলো ও তার নান্দনিক উপস্থাপন
যা কবির অন্তরচিত্তকে ভাবায়, রাঙায়,
করে পুলকিত, উদ্বেলিত!
অমাবস্যা নিয়েও কবি ভাবেন
ফুল, পাখি, তরুলতা, উৎসব, পার্বন নিয়ে গাঁথেন কথার মালা
সংগ্রাম, দ্রোহ, বিদ্রোহ, ন্যায়, অন্যায় নিয়ে তোলেন ভাষার নাচন,
প্রতিবাদী শব্দের বিচ্ছুরণ!
কবি হয়ে উঠেন বাস্তববাদী, প্রগতির দাবী নিয়ে হাটেন নব অধ্যায়ের পথে
স্বপ্ন দেখান সম্মুখে যেতে,
সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের রূপ নির্মাণ করেন প্রতিবাদের কণ্ঠে।
কবি কবি হবেন এই ভেবে কী লিখেন?
বোধহয় না!
কবি কবি হতেও আসেন না!
বরং
সত্য, সুন্দর ও ন্যায় সাজাতে,
প্রগতির পক্ষে দাঁড়াতে, সময়ের সাথে জীবন রাঙাতে
কবির আগমন-
এটাই সত্য, এটাই চিরন্তন।
রচনাকাল
৩০.০৩.২২