হে ফাগুন
তুমি আসবে বলে
আগুন রঙে রাঙিয়েছি আমার মন
কৃষ্ণচূড়া সাজায়েছে মঞ্চ, তোমার আলাপন।
হে ফাগুন
তুমি আসবে বলে
সকালটা মাতিয়েছে বকুল তলা
ঝরা ফুলগুলো তুলে
প্রেমিক পাগল সাজায়েছে সারাবেলা।
হে ফাগুন
তুমি আসবে বলে
রোদ্দুরময় দুপুর সাজায়েছে কৃষ্ণচূড়া
উদাসী মন সংকল্প করেছে
তোমার রঙে সাজাতে বিকেল বেলা।
হে ফাগুন
তুমি আসবে বলে
ফুলে ফুলে মৌ বনে, মৌমাছিরা খেলছে ছোঁয়াছুঁয়ি
অনুভূতির মন বাগিচায়
রঙ রমনীরা করছে আঁকিবুকি, হাতে রং তুলি।
হে ফাগুন
তুমি আসবে বলে
মেতেছে বাসন্তী রঙে শহরের অলি-গলি
উৎসবের আমেজে শুনি হাজারো ছন্দে
বাসন্তী দের পদধ্বনি।
হে ফাগুন
তুমি আসবে বলে
নীল পদ্ম তুলে রেখেছি তোমার নামে
ভালোবাসা টুকু গুছিয়ে রেখেছি
বেনামি চিঠির খামে।
হে ফাগুন
তুমি আসবে বলে
পারুল জবা কনক চাঁপার চোখে
প্রেম বুনেছে মন বেহায়া
বাসন্তী রঙের শাড়ি, খোঁপায় বেলী ফুলের মালা, রঙ-বেরঙের চুড়ি
সেই সাজে মেতেছে হাজারো অপ্সরী।
হে ফাগুন
তুমি আসবে বলে
অভিমানি তানপুরায় উঠেছে মধুর সুর
হাতরে বেড়াই ঘন অরণ্যে, একমুঠো ওম।
হে ফাগুন
তুমি আসবে বলে
নামহীন সম্পর্ক গুলো খোঁজে সুখের বেশ
কোকিলের কূজন গাছের ডালে
আমের শাখায় শাখায় নতুন মঞ্জরি
নব পল্লবে, সুশোভিত বৃক্ষরাজি
আজি তোমার রঙের রঙীন ছোঁয়ায়
সাজলো স্বদেশ ভূমি
ভোরের আলো রাঙিয়ে তোলে ফাল্গুনী।
রচনাকাল
১২.০২.২২