আমার কাব্যে যদি খুঁজি
তোমার নামের অহমিকা
তবে-
তুমি নবনীতা।
তুমি অনিন্দিতা।
তুমি সুভাষিণী।
তুমি নন্দিনী।
তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা।
সূরের আকাশের সুখ তারা।
তুমি নাটোরের বনলতা সেন
কবির অমর কাব্যের অক্সিজেন।
তুমি নিঃসঙ্গ বুকে নিশিথের বাতাসের মত
এক প্রস্থ সুখের ঘ্রাণ
তোমার মায়াবী ছোঁয়ায় দাবদগ্ধ হয় প্রাণ!
তুমি তিলোত্তমা
ওগো নিরুপমা নয়নাভিরাম
প্রকৃতির মত তোমার রুপ বহমান।
তোমার আলতো চাহনী
খরতাপে পোড়া হৃদয়ে যোগায় প্রশান্তির আবেশ।
দীঘি ধরা চোখের ইশারায়
অন্তরের কার্নিসে প্রতি স্থাপিত হয় ভালবাসার উপনিবেশ।
তুমি হাসলে ঝড়ে পড়ে গোলাপের পাপড়ি
জমে থাকা সব অভিমান থেকে কবির মিলে মুক্তি!
তুমি অনায়াসে পূর্ণিমার জ্যোছনার সাথে মিশে যেতে পারো বলে
মনের আনন্দ গুলো হয়ে উঠে ঝলমল
মাঝে মাঝে চটে যাওয়ার অভ্যাসটা লাগে ভীষণ নির্মল!
তুমি বিভ্রান্ত দৃষ্টির কাছে নতজানু হওয়ার চেয়ে
বুকের কষ্টগুলো ঝুলন্ত ব্যালকনির এক কোনে ফেলে
আমার পুঞ্জিভূত স্বপ্নের ডালপালা গুলো প্রতিনিয়ত সজীব সতেজ রাখা শ্রেয় মনে কর বলে
পুলকিত মন বেঁচে থাকার অর্থ বুঝে!
তাই বলি, তুমি আমার এমনই একজন-
“যাকে বাদ দিলে
ভালো লাগার মত এই পৃথিবীতে
নেই অন্য কোন জন”!
রচনাকাল
২০.০৫.২২