কাপুরুষের তালিকা হচ্ছে জেনে
বলেছি কর্তৃপক্ষ শোনো,
তালিকার এক নম্বর জায়গাটি বাদ রেখে
সাজিয়ে যাও পরপর।
আর হে দায়িত্ববান পুরুষ,
তালিকায় তোমার নামটি কই?
ভেবেচিন্তে যেখানে খুশি
যে নম্বরে খুশি
নিজের নামটি টুকতে কিন্তু ভুলোনা পুরুষ!

কোনো জবাবদিহির আগেই আজ আমি
সেঁটে দিচ্ছি এই ছোট্ট পাদটীকা:
ভুল বৈরী সময়ের আমাকে দেখো,
স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো জনতাকে দেখো,
আমি এই দজ্জাল সমাজের কেউ নই!
সাহসীদের কাতার ছেড়েছি বলে, স্বার্থপর বলো,
জালিমের সামনে বোকা এক মেরুদণ্ডহীন বলো,
আমাকে অভিশাপ দাও হে মিছিল।
আমাকে অভিশাপ দাও হে শ্লোগান।
আমাকে অভিশাপ দাও হে রক্তাক্ত যুবক।
আমাকে অভিশাপ দিয়ে শেষ করে দাও।
আমাকে দেখে, বেইমানী জলছাপ দেখে,
যেন এই রাস্ট্র সংস্কারের কাজে আর কেউ
পিছপা হবার সাহস না করে ভবিষ্যতে।
সাহসীদের ইশতেহার পাঠের বেলা
কোনো আঁতাত করে,
আমার ভাই এর রক্তের সাথে বেইমানি করে
সাহসী খেতাব আমার চাই না মোটেই।
কাপুরুষের কোনো খেতাব সাজেনা কখনো।

আমার ভুলের জন্য,
পূর্ব পুরুষের ভুলের জন্য,
অধিকৃত জনপদে আজ চলছে যে জুলুমের রাজ্য
তার জন্য আমিও কম দায়ী নই।
অরক্ষিত স্বাধীনতার দায়
বেড়ে বেড়ে আজ আমি এতো পরাধীন!
রক্ত দেখে আঁতকে উঠতে উঠতে আমি এতো আতঙ্কিত।
বিপ্লব দেখিনি বলে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো যুবকের পাশে
আমার কবিতা কতটা অসহায় হয়েছে আজ।
কবিতার বাইরে কেন রাজপথে শ্লোগান শিখিনি আমি?

আমি তাই চেয়ে আছি পথপানে হে মাহদী,
আর কতদিন বাকি?
কবে আসবে তুমি?
কবে আসবে তুমি?
তসবির দানার শব্দে শুধু বেজে চলে শুনি
আলা ইন্না নাসরল্লাহি ক্বরীব।
হে মাহদী, হে মাহদী।