পাখির মতো উড়তে গিয়ে পাখিই হলাম বনে,
বেরিয়ে এসে ডাক দিলো কে হঠাৎ সঙ্গোপনে?
বাইরে দেখি ঘুড়ির সাথে ঘুরছে ছেলের দল,
নানান রঙের ঘুড়ি দেখেতো বাড়ায় কৌতুহল।
লাল নীল এক জটলা বাঁধায় বাতাসে থরথর
কোথায় যাবে ঘুড়ি ভাই? কোথায় তোমার ঘর?
সুতোয় বাঁধা এ জীবন আমার, মেঘের মধ্যে উড়ি
একটুখানি বাতাস পেলে লাগে সুড়সুড়ি!
তুমি ও যদি সুড়সুড়ি দাও? তাই যে থাকি দূরে
রাগ করে বকলে নাটাইসুদ্ধ যাবো উড়ে।
ভুল করেছো, আমায় তুমি পাখির মতো ভেবে,
একটু নাটাই ছেড়েই দেখো, কোথায় আসি নেবে?
আচ্ছা আমি মেঘ হলে, তোমার ক্ষতি টা কী?
বৃষ্টি জলে ভিজলে সেতো দারুণ মাখামাখি!
বাতাসে সুর রিনঝিনিয়ে, মাঠের তেপান্তর,
নাটাই ছাড়া পেলে আমি খুঁঁজবো মায়ের ঘর।
মাকে পেলে জড়িয়ে যদি ধরতে পারি এ বুকে,
ভাবতে পারো কেমন মধুর কাটবে জীবন সুখে?
ছন্দ: স্বরবৃত্ত ( প্রতি চরণে মাত্রা ১০)
কাব্য মেঘ তাই ভয় পেয়ে বৃষ্টিতে ঝরে