রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি অসীম শ্রদ্ধা ও রবীন্দ্র অনুরাগীদের প্রতি ক্ষমাপ্রার্থনা করে "আষাঢ়" কবিতাটির প্যারোডি উপস্থাপন করেছি ৷ পাঠান্তে সন্তুষ্ট হলে লেখাটা সার্থক বলে মনে হবে ৷
তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে
মূলচাঁদ মাহাত
সবে রেখো জেনে এ লক ডাউনে
করোনাই নিস্তার নাহি রে
ওগো, আর তোরা যাস নে ঘরের
বাহিরে।
অনুরোধ করি মাক্স পর পর
যতপার ঘরে ঘুরাঘুরি কর
বিষাক্ত পবনে আজ চারিধার
ভরিয়াছে দেখ্ চাহি রে।
ওগো, আর তোরা যাস নে ঘরের
বাহিরে।
ওই ডাকে শোনো, মুদি ঘন ঘন
পাঁচটা তক্ক আছি দোকানে
পরদিন খুলিব ঠিক সাতটাই সকালে
দুয়ারে দাঁড়ায়ে কি দেখছো বলি
পুলিশ আসিলে দিবে খুব গালি
একবার ঝাঁপ বন্ধ হয় যদি
আর খুলিব না হাঁকালে
পরদিন খুলিব ঠিক সাতটাই সকলে ৷
শোনো শোনো ওই পারে যেতে কয়
আজ ডাকিবে সঙ্গি সাথীরে ৷
যাবে যদি নিভানোর আছে সাধ জীবন
বাতি রে
বাঁচাতে তোদের পারিবে না কেউ
দিকে দিকে উঠিবে মরণের ঢেউ
পুরো ঘর পরিবার কাঁদিলেও .
হইবে না তোদের শুভমতি রে।
যাবে যদি নিভানোর সাধ আছে জীবন
বাতি রে
ওগো, আর তোরা যাস নে গো তোরা
যাস নে ঘরের বাহিরে--
পৃথিবীর বাড়, বড় বেশি আর
নাহি রে।
শুনি আজ শুধু কাঁদে স্বজন হারা
ঘাটে গিয়ে আজ কি দেখিস তোরা
নিরমল গঙ্গায় সারি সারি মড়া
দুই পারে আসে বহি রে।
ওগো, আর তোরা যাস নে ঘরের
বাহিরে।