কবিতা যখন মাথায় আসে নাকো
আজেবাজে লিখি আমি যা তা,
অনর্থক কিছু শব্দ সহযোগে
ভরে চলি কেবল খাতার পাতা।
কখনো ভাবি প্রেমের কাব্য লিখি
নাহয় লিখবো বিরহ বিচ্ছেদ,
অথবা লিখি ব্যর্থ প্রেমীকের কান্না
যে প্রেমের প্রতি জানাই শুধুই খেদ।
আবার ভাবি গরীবের কথা লিখবো
যাদের দিনগুলি কাটে অনাহরে,
কান্নাগুলি পাথর হয়ে তাদের
বুকের ভিতর জমে থরে থরে।
পেটের ভিতর যে ভ্রুণ কন্যা মরে
তাদের কথায় লেখে বা কয়জন
সে মায়ের ভিতর কেমন পাহাড় ভাঙ্গে
সে পিতার কত নিঠুরতম মন।
বাল্যকালে আদর যতনে সবাই
নিজের ছেলেকে পালন করে দেখি,
সেই ছেলে মাবাপে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠায়
তাদের কথায় আজকে নাহয় লিখি।
এলোমেলো ভাবনাগুলি যত
সংঘবদ্ধ পায় না কোন রূপ
কাব্য লিখি হৃদয়ের সংঘাতে
পরের ব্যথায় হয়ে যায় নিশ্চুপ।