পুটকির মা যাচ্ছো কোথায়
গাঁইতি কোদাল হাতে,
শুকনা, রোগা হয়ে যাচ্ছো
পাওনি আজ কাল খেতে।
বলে যাও সংসারের কথা
স্বামী, ছেলে, মেয়ে
কেমন চলছে সংসার তোমার
ছেলের বউকে নিয়ে?
কোথায় যাচ্ছো কাজ করতে,
কোথায় আগে করতে,
একশ দিনের কাজ প্রকল্পে
পারলে না ফর্ম ভরতে?
আঙ্গনবাড়ি দিদি, তোমায়
কি বইলব আর,
কাজ না কইরলে যে দিদি
হামরা পাইনা পার।
যাব হামি মাটি কাইটতে
পলাশ পুরের বাঁধ,
ইস্কিমে চাল আইসেছে
ঘর আইনে নিয়ে রাঁধ।
ঘর ঢালায়ের কাজ টা
ছাইড়ে হামি দিলি,
ইস্কিমের বাঁধ কাটাই
যখন কাজ পাইলি।
আগে ইট ভাঠায় কাজ কইরথি
মালিক গেজরাহা বঠে,
এক টুকুন দেরি হইলেই
বেঁজায় রাইগে উঠে।
মেয়াটি গেল বাবুর ঘরে
থালা বাসন মাইজতে,
পড়াশুনা ছাড়াঁই গেল
বাবুর ঘরের কাইজতে।
দিদি... কি বইলব দুখের কথা
শুইনলে ছাতি ফাইটবেক
মাঁতায় আইসে মরদ হামার
মা-ঝিয়ের টাকা লুইটবেক।
মাইরে পিটে কাহিল কইরে
চইলে যাবেক ভাঠি,
বিকাঁই গেল জাইগা জমি
বাসন, ঘটি, বাটি।
কন রখমে মা-ঝির টাকায়
সংসার টাইনে চলি,
দুখের কথা দিদি তোকে
কত যে আর বলি।
আর বলো না পুটকির মা
সবই তো শুনলাম আমি,
নারী ডোমেস্টিক আইন এলো
মারবে না আর স্বামী।
লুটবে না রোজগারের টাকা
দিবে না আর গাল,
নির্যাতনেও এই আইন
থাকবে যে বহাল।
বাপের বাড়িতে পনের দাবি
করবে না আর শ্বাশ শ্বশুর,
এই আইনে নারী জাতির
দু:খ দুর্দশা যাবে দূর।
কবিতাটিতে পুরুলিয়া/বাঁকুড়ার আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহৃত হয়েছে। পাঠে বিঘ্ন ঘটায় ক্ষমা প্রার্থী। কবিতাটির বাস্তব রূপায়নে প্রয়োজন ছিল।